বিনয়ও চাইলে কোহলির কাছ থেকে শেখা যায়

এর মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন যেমন দৃঢ় হয়, তেমনই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ ও কৃতজ্ঞতার অনুভূতি গড়ে ওঠে। কোহলি এখানেও তরুণদের জন্য আদর্শ হতে পারেন। কে বলবে, মাঠে যখন খেলতে নামেন - তখন প্রতিপক্ষকে এক বিন্দু ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা নিয়েই নামেন এই গ্রেট।

বিরাট কোহলি এক বিস্ময়কর চরিত্র। মাঠে তাঁর আগ্রাসন যেমন প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরায়, তেমনি মাঠের বাইরে তাঁর বিনয় কোটি হৃদয় জয় করে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করার পর, উৎসবের মধ্যেই বিরাট কোহলির এক উষ্ণ মুহূর্ত সকলের মন ছুঁয়ে গেছে। ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামির মায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছেন তিনি।

যখন গোটা দল ট্রফি জয়ের আনন্দে মেতে, তখন কোহলি গিয়ে শামির মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সশ্রদ্ধ ভঙ্গিতে তাঁর পা ছুঁয়ে শুভকামণা নেন। পরিবারের সঙ্গে ছবি তোলেন। যখন আগ্রাসন দেখানোর প্রয়োজন, তখন তিনিই প্রথম সারিতে থাকেন, আবার যখন বিনয়ের প্রয়োজন, তখনও তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এটাই তো কোহলি।

এটা একই সাথে ভারতীয় সংস্কৃতিরও প্রতীক। এটা শুধু এটা প্রথাই নয়, পারিবারিক শিক্ষাও বটে। মানসিকভাবে এটি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, সম্পর্কের ভিতকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও মজবুত।

এর মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন যেমন দৃঢ় হয়, তেমনই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ ও কৃতজ্ঞতার অনুভূতি গড়ে ওঠে। কোহলি এখানেও তরুণদের জন্য আদর্শ হতে পারেন। কে বলবে, মাঠে যখন খেলতে নামেন – তখন প্রতিপক্ষকে এক বিন্দু ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা নিয়েই নামেন এই গ্রেট।

Share via
Copy link