কোনো প্রকার যুক্তিতর্ক ছাড়াই আধুনিক ক্রিকেটের সবচাইতে রাজকীয় নামটি হলো বিরাট কোহলি। রোজকার যাপিত জীবনে হাফ সেঞ্চুরি কিংবা সেঞ্চুরি হাঁকানোকেও যিনি করে তুলেছেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। ‘ধারাবাহিকতা’ শব্দটা যেন বিরাটের নামেরই অন্য এক সমার্থক শব্দ।
তবে সেই ধারাবাহিকতার পেছনে যেমন রয়েছে সুন্দরতম কাভার ড্রাইভ, লফটেড ড্রাইভ কিংবা ফ্লিকের মিশেল। ঠিক তেমনই রয়েছে বলটাকে আলতো করে দূরে ঠেলে দিয়ে দৌড়ে সিঙ্গেল, ডাবলস কিংবা ট্রিপলস নিয়ে স্কোরবোর্ড টাকে সার্বক্ষণিক ভাবে সচল রাখা। বিরাট যতক্ষণ ব্যাট হাতে মাঠে থাকেন স্কোরবোর্ডের কোণে রানের জায়গাটা যেন মুহূর্তের জন্যেও রেহাই পায় না।
আপনি অতিমানবীয় বোলিং ডেলিভারি কিংবা বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং সেট আপ এ বাউন্ডারি আটকে দিবেন? ঠিকই দৌড়ে দু-তিনটে রান যোগ করে ফেলবে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫ শতাংশ রানই এসেছে তাঁর সিঙ্গেল-ডাবলস-ট্রিপলস থেকে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৯৬ ইনিংস ব্যাট করতে নেমে রান করেছেন প্রায় সাড়ে চৌদ্দ হাজারেরও বেশি। সেখানে কেবল দৌড়েই রান নিয়েছেন ৭০৩৭। যা বোধহয় অনেক কিংবদন্তিতূল্য প্লেয়ারদের গোটা ওয়ানডে ক্যারিয়ারের রান থেকেই বেশি।
দৌড়ে এক রান নিয়েছেন ৬০১১ বার। দু’রান নিয়েছেন মোটে ৯৬১ বার। এমনকি তিন রান নিয়েছেন গোটা ৬৫টি বার। একটা ক্রিকেটারের ফিটনেস কতটা প্রখর তা বোধ করি এই একটা পরিসংখ্যান দিয়েই সংজ্ঞায়িত করে ফেলা যায়।
একজন কিংবদন্তি হতে আর কি লাগে? রানের পাহাড় গড়া, ম্যাচ জেতানো এসবই তো। তবে একজন বিরাট হতে এমন আরও অনেক কিছুই লাগে বোধহয়। খেলার প্রতি তাঁর ডেডিকেশন তাঁকে নিয়ে গেছে এক অনন্য মাত্রায়। যেই মাত্রার খাতিরে আজীবন ক্রিকেট পাতায় লেখা থাকবে এই একটি নাম, দুইটি শব্দ- বিরাট কোহলি।











