দীর্ঘ সময় অধিনায়কত্ব করছেন। কখনও ভারতের, কখনও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। তবে, বিরাট কোহলি হঠাৎই কেন ছন্নছাড়া হয়ে উঠেছিলেন, ছেড়েছিলেন অধিনায়কত্বের সব দায়িত্ব।
২০২১ সালে আচমকা ভারতের সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত টেস্ট সিরিজ হারায় নিজের পছন্দের ফরম্যাট টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়াতে হয় টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সফল এই অধিনায়ককে।
তারপর এক নতুন রদবদল আসে ভারতীয় ক্রিকেটে, চারদিকে শুরু হয় জানান গুঞ্জন। কেউ কেউ বলতেন তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির চাপেই বিরাট অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন। কেউ আবার কালপ্রিট বানান ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শার্মাকে।
সেসময় রোহিত-বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে হয়েছিল ব্যাপক আলোচনা, তবে বিরাট-রোহিত নিজেদের সম্পর্কের টানা পোড়েন নিয়ে কখনো কিছু খোলাসা করে বলেনি। তবে সেসব এখন অতীত, অতীতের সব জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এবার বিরাট নিজেই সামনে আনলেন তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার আসল কারণ।
আইপিএল চলাকালীন আরসিবির এক পডকাস্টে বিরাট বলেন, ‘এক সময় সবকিছু আমার জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছিল। আমার প্রতি সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি, ব্যাটিং কিংবা অধিনায়কত্ব দুই জায়গাতেই সমান ভাবে মনোযোগ দেওয়া আমার জন্য কষ্টকর হচ্ছিল। সেসময় আমার ক্রিকেট থেকে একটু বিরতি নেওয়া উচিৎ ছিল, নিজেকে সময় দেওয়া এবং ভালো রাখতেই দায়িত্ব ছেড়েছিলাম।’
এছাড়া বিরাট আরও বলেন, ‘ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি আর কোচ গ্যারি কার্স্টেন আমাকে অনুপ্রাণিত করতো, বলতো মাঠে তুমি যা করছো সেটাই তোমার শক্তি, তোমার প্রতিচ্ছবি। যত দিন খেলবে সেটাই করে যেও।’
দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বিরাট ভুড়ি ভুড়ি রান করেছেন, গড়েছেন কতশত রেকর্ড। বাইশ গজের সেই অতন্দ্র প্রহরী বিরাট একসময় মনে করেছেন ভালো খেলার পাশাপাশি মানসিক শান্তিটাও যে বড্ড প্রয়োজন। তাই তো সঠিক সময়ে নিয়েছিলেন সঠিক সিদ্ধান্ত।