কথায় আছে টাকাই শক্তি, টাকাই ভক্তি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিজ দলে খেলানোর জন্য সেই টাকার কাছেই হার মেনে নিতে হয় বিদেশি লিগের দলগুলোকে। কেননা নামমাত্র পারিশ্রমিকে বিদেশি লিগে খেলেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ।
সম্প্রতি এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং বীরেন্দ্র শেবাগ। গিলক্রিস্ট জানতে চান আগামীতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগে খেলার সম্ভবনা কতটুকু। জবাবে শেবাগ বলেন, ‘ না। কেনো যাবো? কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা ধনী জাতি। গরিব দেশে যাই না।’
এরপর তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ‘আমার এখনো মনে আছে, আমি তখন জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলাম। না, অবসর নেইনি দল থেকে বাদ পড়েছিলাম।তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছিলাম। সেসময় বিগ ব্যাশ থেকে খেলার প্রস্তাব পাই। তাঁদেরকে পারিশ্রমিকের কথা জিজ্ঞেস করি। তাঁরা প্রায় ১০০,০০০ ডলারের কথা বলেছে। আমি উত্তরে বলেছিলাম, ‘আমি আমার ছুটিতেই এই টাকা খরচ করতে পারি। এমনকি গত রাতের বিলও ১০০,০০০ ডলার থেকে বেশি ছিল।’
৪৫ বছর বয়সী শেবাগ ব্যাঙ্গ করে বলেন, ‘বিগ ব্যাশ বা দ্য হান্ড্রেড খেলতে এক মাসের জন্য দেশের বাইরে গেলে পাবো মাত্র ১০০,০০০ কিংবা ২০০,০০০ ডলার। তবে আপনি যদি তার চেয়ে বেশি পরিমাণের কথা বলেন, হ্যাঁ তাহলে আমি আগ্রহী। নয়তো না।’
শুধু ফ্রাঞ্চাইজি দলকেই নয়, শেবাগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ব্রিটিশ মিডিয়াকেও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘একবার আমি স্কাই স্পোর্টস থেকে একটি কল পেয়েছিলাম। যেখানে তাঁরা আমাকে জানায় আমাকে তাঁরা তাঁদের প্যানেলে রাখতে চায়। আমি বললাম, আমাকে নেয়ার সামর্থ্য আপনাদের নেই’। তাঁরা তারপরও জিজ্ঞেস করল, তোমার পারিশ্রমিক কত?। আমি আবার বললাম, আমাকে নেয়ার সামর্থ্য আপনাদের নেই। তবে তাঁরা আমার পারিশ্রমিক জানতে চাচ্ছিল বারবার। তারপর আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে ১ দিনে ১০,০০০ পাউন্ড।’
বর্তমানে শেবাগ আইপিএলের সম্প্রচার দলের হয়ে কাজ করছে। ডান হাতি এই ব্যাটারের আইপিএল ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মোট আটটি মৌসুমে খেলেন তিনি। যেখানে তিনি দুইটি শতক এবং ১৬ টি অর্ধশতকের দেখা পান।
১৫৫.৪৪ স্ট্রাইক রেটে সর্বোমোট ২৭২৮ রান সংগ্রহ করেন ভারতের এই বিধ্বংসী ওপেনিং ব্যাটার। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বিদেশি লিগের চেয়ে আইপিএলেই টাকার ঝনঝনানি বেশি শোনা যায়। আর এই কারণেই ক্রিকেটাররাও আইপিএলকে প্রাধান্য দেয় বেশি।