নুয়ান থুসারা ফেক ফিল্ডিং করেছেন, নেহায়েৎ মজা করেই। টেলিভিশন ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা গেছে। আম্পায়ার দেখেছেন। তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। বাংলাদেশের ব্যাটার নাঈম শেখ বারবার বলে গেছেন, তিনি ছিলেন সিরিয়াস মুডে। কিন্তু শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। মজা করে হলেও, আইনত সেখানে বাংলাদেশ পাঁচ রান পেনাল্টি পায়।
২০ তম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারি। শর্ট থার্ডের ওপর রিভার্স হিটের চেষ্টা করেছিলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। কিন্তু, থুসারা শেষ মুহূর্তে দেন স্লোয়ার, গতির তারতম্য ধরতে পারেননি শামিম।
বল চলে গেল উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। রান নেওয়ার জন্য দৌঁড় শুরু করেছিলেন নাঈম হাসান। কিন্তু, বিধিবাম। নুয়ান থুসারা সময়মত বল হাতে পেলে রান আউট করে দিতে পারতেন। যদিও, বল হাতে আসার আগেই তিনি উইকেট ভেঙে দেওয়ার ‘অভিনয়’ করেন।
পরিমড়ি করে ক্রিজে ঢোকেন নাঈম। পরে বুঝতে পারেন থুসারা নাটক করছেন। আম্পায়ারকে অভিযোগ করেন। আম্পায়ার ছিলেন তখন শ্রীলঙ্কার রবীন্দ্র ভিমালসিরি।
নাইম অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে ‘ফেক ফিল্ডিং’ হয়েছে। কিন্তু, আম্পায়ার কোনো পদক্ষেপ নেননি নুয়ান থুসারার বিপক্ষে।
আইসিসির আইন বলে, ফেক ফিল্ডিং হলে ব্যাটিং দল পাঁচ রান পেনাল্টি পাবে। যদিও, এক্ষেত্রে ব্যাপারটা ততটা সিরিয়াস ছিল না। আম্পায়ার তাই পেনাল্টির দিকে হাঁটেননি। বাংলাদেশের রান ১৫৯ হতে পারত, কিন্ত ১৫৪ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। যদিও, তাতে ব্যাটারদের দায়ই বেশি!