হঠাৎ করেই আলো হারিয়ে ফেলেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ভারতীয় ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চরিত্র এখন শুভমান গিল। প্রশ্ন হল, শুভমান গিলকে অধিনায়কের দৌঁড়ে এগিয়ে রাখা কি সঠিক সিদ্ধান্ত? নাকি শ্রেয়াস আইয়ার ছিলেন যোগ্যতর দাবিদার?
শুভমান গিল এখন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফিরবেন, সেটাও সহ-অধিনায়ক হয়ে। প্রথম টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেখিয়ে গিল প্রমাণ করেছেন তার ব্যাটিং ক্ষমতা ছাড়াও কৌশলগত মেধা আছে।
ভবিষ্যতে গিল সব ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়ক হবেন, তেমনটাই ভাবছে বিসিসিআই। শ্রেয়াস আইয়ারকে বাদ রাখার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার।
নেতৃত্বের দিকটা আলাদা। এখানে কেবল রান নয়, দরকার ধৈর্য, অভিজ্ঞতা এবং দলের মনোবল ধরে রাখার ব্যাপার থাকে। এই মুহূর্তে সেই দিক দিয়ে শ্রেয়াস আইয়ার শক্তিশালী প্রার্থী। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এই মুহূর্তে সেরা অধিনায়ক আইয়ার।

তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২০২৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ২০২০ সালে দিল্লী ক্যাপিটালস এবং ২০২৫ সালে পাঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাকে যোগ্য নেতা হিসেবে প্রমাণ করে।
আবার, সীমিত ওভারে পারফরম্যান্সের মাপকাঠিতেও এগিয়ে থাকবেন এই মুহূর্তে শ্রেয়াস আইয়ার। গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ৫৩০ রান করেন, এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১০৫ রানের জরুরী একটা ইনিংস ছিল।
তারপরও শ্রেয়াস আইয়ার টি-টোয়েন্টি আলোচনার বাইরে। গিলকে নিয়েও সন্দেহ রাখা যায় না। বর্তমানে বিশ্বে ভারতের শীর্ষ ওয়ানডে ব্যাটার তিনি।, ভারতের হয়ে ৫৫ টি ওয়ানডেতে ২৭৭৫ রান করেছেন। আটটি সেঞ্চুরি আর ১৫ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে গড় প্রায় ৬০!
তার সর্বোচ্চ স্কোর ২০৮ রান, যা ১৪৯ বল থেকে এসেছে। তিনি ওয়ানডে ওপেনিংয়ে ভারতের শেষ কথা। তিনি প্রোলিফিক রান স্কোরার, এক ফরম্যাটের নেতা। এমনকি টি-টোয়েন্টিতেও আগে অধিনায়কত্ব করেছেন।

কিন্তু, নেতৃত্বগুণে আইয়ার আলোচনায় থাকবেনই। অন্তত, স্কোয়াড থেকেই বাদ থাকার মত খেলোয়াড় তিনি নন। নেতৃত্বের দৌড়ে কি শুধুই ব্যাটিং সামর্থ্য আর তারুণ্য বিবেচিত হয়েছে? নাকি সেখানে অভিজ্ঞতা কোনো পার্থক্য গড়তে পারে।
বিসিসিআই এখানে প্রথম মতে বিশ্বাসী। কারণ, গিল এখনও নেতৃত্বের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছেন। সোনা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা কি হীরার মূল্য বিসর্জন দিচ্ছে? কার্যত, এই ময়ে ভারতের ক্রিকেটে নেতৃত্বের বিতর্ক যেন কোনো ভাবেই শেষ হবে না।










