চারিদিকে নতুনের ছোঁয়া। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে যেন লেগেছে নবরঙের দোলা। বেশ আয়োজন করে উন্মোচিত হচ্ছে শিরোপা। ঘটা করে জার্সি উন্মোচিত হচ্ছে টুর্নামেন্টের আগের দিন। অধিনায়ক কিংবা দলের প্রতিনিধিরাও হাজির গণমাধ্যমের সামনে। এসব কিছুই ঘটেছে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিকে ঘিরে।
এত সব আয়োজন আগে কি কখনো ঘটেছে? সম্ভবত না। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় আবার চলছে তুমুল ব্যস্ততা। সংস্কার হচ্ছে মাঠ ও সংলগ্ন চারিপাশ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) জমকালো আয়োজনে থাকবে নতুনত্ব। এর আগে তো শ্রী ঠিক করা প্রয়োজন। সেই ব্যস্ততায় যেন বিলম্ব না ঘটে।
তাইতো এনসিএল টি-টোয়েন্টি পুরোটাই আয়োজিত হতে চলেছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নয়নাভিরাম সিলেট স্টেডিয়াম, বেশ গোছানো বটে। একপাশে আন্তর্জাতিক মানের মাঠ, আরেক পাশেই রয়েছে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা আউটার স্টেডিয়াম।
দেশের কোন আন্তর্জাতিক ভেন্যুর পাশে এতটা গোছালো আউটার স্টেডিয়াম সম্ভবত নেই। সেখানে অনায়াসে চালানো যেতে পারে বয়সভিত্তিক কোন আন্তর্জাতিক সিরিজও। এই দুই মাঠেই গড়াবে প্রথমবারের মত আয়োজিত হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
সাত বিভাগীয় দলের পাশাপাশি থাকছে ঢাকা মেট্রো। বেশ সুদর্শন জার্সি পড়েই অধিনায়করা হাজির হয়েছিলেন সবুজের অভয়ারণ্যে। সেখানে হাসি-ঠাট্টা হয়েছে। একজন আরেকজনের জার্সিরকে দিয়েছেন পাশ নম্বরও। তাছাড়া সবাই জানিয়েছেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্য।
এমন গোছানো আয়োজন শেষ কবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঘটেছে? সম্ভবত সর্বাধিক অর্থকড়ি ব্যয়ে বিপিএল এতটা গোছানো হয়নি এতদিন। এবার হয়ত ভিন্ন ধাঁচের বিপিএলের দেখা মিলবে। তার আগে এনসিএলে দেশীয় খেলোয়াড়রা নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগটাও পাবে। মাঠের লড়াইয়ের উত্তাপ শীতের তীব্রতাকে হার মানাবে, প্রত্যাশা ঠিক ততটুকুই নিশ্চয়ই।