প্রথম বলে সিঙ্গেল। এরপরের তিনটা বলেই আগুন। এক চারের পরে দুই ছক্কা। প্রথম চার বলেই করলেন ১৭ রান। বয়সটাও তার মাত্র ১৭ বছর। চেন্নাই সুপার কিংসের ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষুদে ক্রিকেটার। অভিষেক ম্যাচেই আয়ুশ মাহাত্রে খেললেন ফিয়ারলেস ক্রিকেট, স্টেটমেন্ট দিয়ে রাখলেন — রিমেম্বার দ্য নেইম।
অভিষেকের বাড়তি চাপ সামলে ব্যাট হাতে যেন মহাকাব্য লেখা শুরু করলেন। দারুণ সব শট—কখনো কাভার অঞ্চলে, কখনো বা মিড উইকেটের উপর দিয়ে — জানিয়ে দিলেন, জায়গাটা আমারই।
ইনিংসটা শেষ হয়েছে ১৪ বলে ৩২ রান করে। তবে রানের সংখ্যা কম হলেও উপহার দিয়েছেন এক পাওয়ার-প্যাকড ইনিংস। চারটি চার, দুটি ছয়ে স্ট্রাইক রেট ২৫৪.৫৫। নিজের প্রথম ম্যাচটা যেন স্মরণীয় করেই রাখলেন আয়ুশ মাহত্রে।
চেন্নাই সুপার কিংস মানেই অভিজ্ঞতা আর তরুণদের যুগলবন্দী। নিয়মিত অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন আসর থেকে। রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে নাম উঠেছিল পৃথ্বী শ ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের। তবে চেন্নাই বাজি ধরেছে ১৭ বছরের আয়ুশ মাহাত্রের উপর। আর প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন, চেন্নাই হীরে খুঁজতে ভুল করেনি।
আয়ুশ আদর্শ মানেন রোহিত শর্মাকে। ব্যাটিং স্টাইলেও মিল রয়েছে রোহিতের সাথে। আর অভিষেকটা হলো সেই রোহিত শর্মার মুম্বাইয়ের বিপক্ষেই! তাও আবার খেলছেন ধোনির অধীনে। একজন ক্রিকেটারের স্বপ্নের শুরু বুঝি একেই বলে।
আইপিএল দেখাচ্ছে নতুন নতুন চমক। একের পর এক বের করে আনছে ভবিষ্যতের সব তারকা। আয়ুশ মাহত্রেও হয়তো হয়ে উঠবেন সেই তারকাদের একজন। অভিষেকের এই ফিয়ারলেস ইনিংসটাই যেন সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে গেল।