নখ কামড়ানো মুহূর্ত। টানটান উত্তেজনা। ভারত কি পারবে, নাকি পারবে না? সেই টেনশন ছুয়ে যায় ভারতের ড্রেসিংরুমকেও। অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া, বেশ ভাল অবস্থানেই রেখে যান দলকে। তখন একটু স্বস্তি নামে দল। হালকা মেজাজেই উইনিং শট কি হবে সেটা রোহিত শর্মাকে বলছিলেন বিরাট কোহলি। বলেছিলেন, আরে জাড্ডু তো ছক্কা মারতে মাঠে নামছে!
বিরাট কোহলি নিজে খুব করে চেয়েছিলেন ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে, তবে সেটা হয়নি। কিন্তু সতীর্থের ওপর ঠিকই বিশ্বাস আছে তাঁর। সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছিলেন খানিকটা চিন্তিত, অন্যদিকে কোহলি ছিলেন চিল মুডে।
সে সময় রোহিতের সাথে কথা হচ্ছিল তাঁর। হার্দিক পান্ডিয়া আউটের পর যখন রবীন্দ্র জাদেজা মাঠে প্রবেশ করছিলেন তখন তিনি বলেন, ‘আরে এ (জাদেজা) তো ছক্কা মারার জন্য মাঠে যাচ্ছে।’ কোহলির অনুমান ঠিকই হয়েছে, ওয়াইড লং অন অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা। যদিও জাদেজা নয়, বরং উইনিং শট খেলেছেন ক্রাইসিস ম্যান লোকেশ রাহুল।
এর আগে অবশ্য বিরাট নিজে দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন। দারুণ এক ক্যালকুলেটিভ ইনিংসে অজিদের বিদায় করার নেশায় মেতে উঠেছিলেন তিনি, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। অ্যাডাম জাম্পাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ফিল্ডারের হাতে।
যদিও তাতে কিছু যায় আসেনি, লোকেশ রাহুল দলকে কোন বিপদে পড়তে দেননি। তাঁর অনবদ্য ৪২ রানের ইনিংস, আর হার্দিক পান্ডিয়ার ২৮ রানে ভর করে টিম ইন্ডিয়া পেরিয়ে গিয়েছে ২৬৫ রানের লক্ষ্য।