ক্যাচ ধরে কি লাভ!

ক্যাচ ধরে লাভ কি! রাচিন রবীন্দ্র তো সেঞ্চুরি করেই ফেলেছেন। ওই ক্যাচটা ধরলেই কি বাংলাদেশ জিতে যাবে নাকি! জয় থেকে তো মাত্র আর ৪৬ রান দূরে বাংলাদেশ।

ক্যাচ ধরে লাভ কি! রাচিন রবীন্দ্র তো সেঞ্চুরি করেই ফেলেছেন। ওই ক্যাচটা ধরলেই কি বাংলাদেশ জিতে যাবে নাকি! জয় থেকে তো মাত্র আর ৪৬ রান দূরে বাংলাদেশ।

ক্যাচটা মহামান্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ধরে ফেললে শুধু শুধু আশা বাড়তো বাংলাদেশের। আশা বাড়িয়ে লাভ কি! সব পেলে নষ্ট জীবন। তােই তো মিড অনে নিরীহ দর্শন ক্যাচটা ফেলে দিতেই হত রিয়াদের। আর রাচিন ছোট মানুষ, ও সেঞ্চুরি করুক। আইসিসি ইভেন্টে চারটা সেঞ্চুরি করা একমাত্র বনে যাক। কি লাভ রেকর্ডটা নষ্ট করে!

আরেকটা বার্তাও দেওয়া গেল তাঁর – বলা হল, এভাবে আর হচ্ছে না। ক্রিকেট এভাবে আর হয় না। চাইলে এবার বাদ দিতে পারেন। রিয়াদের না হয় বয়স হয়েছে। তাঁর ক্যাচ ধরলেই কি না ধরলেই কি! কিন্তু ক্যাচ ফেলতে মিরাজও তো পটু। এবারও রাচিন রবীন্দ্র। মিরাজ ছেড়ে দিলেন। বঞ্চিত করলেন নাহিদ রানাকে। নাহিদ রানার এত উইকেট পেয়ে লাভ কি!

এত অল্প বয়সে এত উইকেট পেয়ে, এত গতির ঝড়ে কি লাভ। একটু বয়স হোক, অভিজ্ঞতা বাড়ুক, চুলে পাঁক ধরুক – ইনজুরি হোক, গতি কমে যাক, তারপর পাবেন না হয়। যখন অভিজ্ঞতার কোটায় দলে খেলা শুরু করবেন, প্রতিপক্ষের বুকে আর কাঁপুনি ধরাবেন না – তখন তিনি না হয় কিছু উইকেট নিবেন।

আর রাওয়ালপিন্ডির এই মাঠে নিউজিল্যান্ডের উইকেট পেয়ে কি লাভ। বাংলাদেশের লক্ষ্য কি আর এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নাকি, একটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলা তো হয়ে গেছে। আবারও না হয় কয়েক যুগ পর খেলা যাবে!

এখানে ক্যাচ মিস করা যায়, ফিল্ডিং মিস করা যায় – এগুলা নস্যি ব্যাপার। এসব বাংলাদেশ দল পারে। সবে পেলে নষ্ট জীবন। জীবন নষ্ট করা চলবে না। পারভেজ হোসেন ইমন তরুণ। তিনি বদলী হয়ে মাঠে নেমেই ক্যাচ নিলেন রাচিন রবীন্দ্র। অনেক উঁচুতে ওঠা বল লুফে নিলেন।

ইমন এসব করতেই পারেন, ইমন বাচ্চা ছেলে। বাচ্চারা ভুল করবেই। তাঁকে দেখে পুরো দলকে জাজ করতে যাবেন না। হ্যাঁ, বড় ভাই রিয়াদ একটা রান আউট করেছেন। ইচ্ছা করে মারেননি। লেগে গেছে। হয়ে গেছে আর কি! কিন্তু, জয় তো আর হঠাৎ করে চলে আসে না!

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link