খুবই আন্ডাররেটেড হয়ে যোগ দেওয়া সেই রিঙ্কু সিংই এখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ২০১৮ সালে কলকাতায় যোগ দেওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি দলের অবশ্যম্ভাবী খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন।
আর এরই সাথে ব্যক্তিগত জীবনও পাল্টে গেছে রিঙ্কুর। আর দশ জন সাধারণ মানুষের মতই জীবন চালিয়ে নেওয়া এই নাইটের জীবনে এখন আকাশচুম্বি খ্যাতি।
কলকাতায় যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হতে থাকে, অসচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা রিঙ্কুর প্রথম জীবন কেটেছে খুব কষ্টে। এরপর কলকাতায় যোগ দেওয়ার পর তার ভাগ্যের চাকা খুলতে থাকে। তাই কেকেআরে যোগ দেওয়ার সময়টা তিনি ট্যাটু আকারে খোদাই করে রেখেছেন নিজের হাতে।
এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ২৬ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘কেকেআর যখন আমাকে কিনেছিলো তখন এটি আঁকিয়েছিলাম, আমার মনে হয় সময়টা ছিলো ২.২০ মিনিট। আমার পরিবারের ভাগ্য ঠিক তখন পরিবর্তন হয়েছিলো। অকশনে আমার মূল্য ছিলো ৮০ লাখ, এই টাকা আমার পরিবারের সকল সমস্যার সমাধান করেছিলো। আমরা আমাদের সমস্ত ধার দেনা পরিশোধ করতে পেরেছিলাম।’
তার এই ট্যাটুতে তিনি ‘পরিবার’ শব্দটি মূদ্রিত করেছেন এবং সেই সাথে একটি গোলাপ এবং একটি শান্তির প্রতীক অঙ্কন করেছেন। রিঙ্কুর একজন পেশাদর ক্রিকেটার হিসেবে তৈরী হওয়ার যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিলো না, তিনি বলেন, ‘আমার এই ট্যাটু আমাকে আমার সংগ্রামের দিন গুলিকে মনে করিয়ে দেয়।’
এছাড়াও রিঙ্কু একটি মজাদার ঘটনা নিয়ে কথা বলেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘একটি বানর আমাকে ছয়বার কামড়েছিল। যখন একই বানর আমাকে ছয়বার কামড়েছে আমার তখন মনে হয়েছিলো বানারটি মনে হয় আমার প্রেমে পড়েছে।’
রিঙ্কু সিং আইপিএলে কেকেআরের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। কেকেআর সমর্থকেরা খুবই আশাবাদী যে রিঙ্কু সিং তাদের দীর্ঘ ১০ বছরের ট্রফির আক্ষেপ কাটাতে অবদান রাখবেন।