বল হাতে গল টেস্টে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন নাঈম হাসান। সেই নাঈমকে ঠিকভাবে ব্যবহারই করা হল না কলম্বো টেস্টে। কোন এক অজানা কারণে শ্রীলঙ্কার খেলা ৭৮ ওভারের মধ্যে, মোটে আটটি ওভার করেছেন নাঈম হাসান।
৭৮ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ উইকেট পেয়েছে মাত্র দুইটি। এর মধ্যে দারুণ খেলতে থাকা দিনেশ চান্দিমালের উইকেটও গিয়েছে নাঈমের ঝুলিতে। সে কারণেই মূলত প্রশ্ন জাগে কেন নাঈমকে এত স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হল।
এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের হেডকোচ বলেছেন, ‘অধিনায়ক হয়ত মনে করেছে যেই দুইজন বোলার বোলিং করছিলেন, তারাই উইকেট এনে দেবে। যারা বেলিং করেছেন, তাঁরা নাঈমের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। সে কারণেই হয়ত।’
বাংলাদেশ দল ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকেই স্পিনার ব্যবহার করেছে। তাইজুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল নতুন বল। একটা প্রান্ত থেকে পেসার আরেক প্রান্ত থেকে স্পিনার তাইজুল বল করে গেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। ১১ তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনা হয়। এর মধ্যে দুই পেসার বদল হয়েও গেছে।
তবুও নাঈমকে দেখা যায়নি বোলিং প্রান্তে। ইনিংসের ২৭ তম ওভারে গিয়ে নাঈম হাতে পেয়েছিলেন বল। সফলতার দেখা না পেলেও আগের ম্যাচের সেরা বোলারকে ব্যবহার না করবার কোন যুক্তিই আসলে ধোপে টেকে না। এক্ষেত্রে অবশ্য ডানহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে অফস্পিনারকে ছুড়ে দিতে হয়নি চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
কিন্তু তেমন কুসংস্কার যদি তিনি মেনেই থাকতেন, তবে মেহেদী হাসান মিরাজকেই বা কেন ব্যবহার করলেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়ত খোদ শান্তই দিতে পারতেন। কিন্তু নাঈমকে আরেকটু আগেভাগে অন্তত নাঈমকে ব্যবহার করা যেতেই পারত।
যদিও দিনটি যে নাঈমের খুব ভাল কেটেছে তাও নয়। ৫.৬২ ইকোনমিতে তিনি রান দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে মঞ্চে। কিন্তু, নাঈম যতক্ষণে উইকেটে এসেছেন ততক্ষণে উইকেটে ঘাঁটি গেড়ে বসেছেন পাথুন নিসাঙ্কা।
দিনেশ চান্দিমাল তো রীতিমত হয়ে উঠেছিলেন গলের প্রাচীর। তবুও সেরা বোলারের হাতে রেডচেরি দেরীতে তুলে দেওয়া অর্থহীন। অবশ্য বাংলাদেশ দলের অর্থবহ সিদ্ধান্ত খুঁজে পাওয়াই তো কঠিন!