এক্সপ্রেস গতিতে একটা বাউন্সার, এরপরই নিজের স্বভাবসুলভ স্লেজিংয়ে মুখর শোয়েব আখতার। ব্যাটিংপ্রান্তে থাকা হরভজন সিং তখন কিছু বলেননি, কিন্তু শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। ছক্কা হাঁকিয়েই পাক পেসারের চোখের দিকে তাকিয়ে ইশারায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আজকের নায়ক আমিই।
২০১০ এশিয়া কাপে দুই কিংবদন্তির সেই ঘটনা এখনো পাক-ভারত ম্যাচের অন্যতম সেরা বিজ্ঞাপন হয়ে আছে। ২৬৮ রান তাড়া করতে নেমে সেবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত, ২১৯ রানে ছয় উইকেটের পতন ঘটলে ক্রিজে আসেন হরভজন।
প্রথমে সুরেশ রায়নাকে সঙ্গ দিয়ে গিয়েছিলেন নীরবে, তারপর রায়না আউট হলে নিজেই দলকে জেতানোর দায়িত্ব নেন। সেসময়টায় তাঁকে বাউন্সারে পরাস্ত করেই উত্তপ্ত বাক্য ছুঁড়ে দেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস, মুখ দিয়েই আবার পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন। তবে কাজের কাজটা করেছেন শেষ ওভারে, দলের যখন ২ বলে ৩ রান প্রয়োজন ছিল তখন মোহাম্মদ আমিরকে বাউন্ডারির ওপারে উড়িয়ে মারেন এই ভারতীয় স্পিনার।
এরপরই হেলমেট খুলে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা শোয়েব আখতারের দিকে তাকান তিনি, সেই সাথে গর্জন করে উঠেন ক্ষ্যাপা বাঘের মতই। বিপরীতে পাক তারকা ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে নীরবেই চোখ সরিয়ে নেন। দু’জনেই অবশ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আরো অনেকবার পরষ্পরের সাথে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। তবে মাঠের বাইরে তাঁদের সম্পর্ক বেশ মজবুত।
এইতো গতবছর লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে দেখা হয় দুই কিংবদন্তির। কথোপকথনের এক পর্যায়ে আখতার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ফয়সালাবাদে হরভজনকে ছক্কা হাঁকানোর কথা। হরভজন পাল্টা জবাবে বলেন, ‘তুমি ছয় মারার পর আমি কিছু বলিনি, কিন্তু আমি মারার পর তুমি অনেক কিছু বলেছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘সে আসলে রেগে গিয়েছিল যে, আমাকে কিভাবে ছক্কা মারে?’ – তখন শোয়েব আবার হেসে তাঁকে মারার ভঙ্গি করলে তিনি বলেন, ‘যখন সে কথা দিয়ে জিততে পারে না তখন সে লোকদের মারতে শুরু করে।’