ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অপ্রত্যাশিত ভাবে হারার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাজে ভাবে হেরে হোয়াটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। দলের এমন হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর ম্যাচ শেষে ক্ষোপ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজম্যান্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছিলেন জবাবদিহিতা করতে হবে সবাইকে। এছাড়া বোর্ড সভাপতি অভিযোগ করেন তাঁর সিদ্বান্তের বাইরে গিয়ে সাকিবের জায়গাতে সৌম্য সরকারকে নেওয়া হয়েছে; তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের অবস্থানও পরিবর্তন করেছেন বিসিবি সভাপতি। আজ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে রাগের মাথায় বলেছেন সব কিছু।
পাপন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘হেরে গেলে মেজাজ খারাপ হয়। আপনাদের খারাপ লাগে, আমারও খারাপ লাগে। কালকে ছিল রাগের কথা। আমাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের যে আরও উন্নতি করতে হবে, এ উপলব্ধিটা সবার মধ্যে আসতে হবে।’
তবে রাগ কিছুটা কমলেও হতাশা কমেনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সভাপতির। তিনি জানিয়েছেন উন্নতির জন্য প্রয়োজনে পরিকল্পনাতে পরিবর্তন আনতে হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দলকে স্পিন নির্ভরতা থেকেও বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন ‘মানসিকাতার পরিবর্তন করতে হবে। স্পিন ছাড়া খেলতে পারবো না–এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শট সিলেকশন নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, এ শটে কেউ আউট হয় না। কৌশল ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা আনতে হবে।’
আগামী মাসে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগেই ক্রিকেটারদের করোনার টিকা নিশ্চিত করতে চায় বিসিবি। শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, ক্রিকেটারদের পর করনোনার টিকা পাবেন কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফের সদস্যরাও।
এদের টিকা নিশ্চিত করার পর পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হবে মাঠকর্মী থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনস্থ সবাইকে। বিসিবির কাছে থেকে ইতিমধ্যে টিকা গ্রহীতা ক্রিকেটারদের তালিকাও চেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
তবে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন টিকা নেওয়ার জন্য জোর করা হবে না কাউকে। তবে, কারা টিকা নেবেন – কারা নেবেন না – সেই ব্যাপারে কোনো খোলাসা করেননি বোর্ড সভাপতি। পাপন বলেন, ‘খেলোয়াড়দের এখনই কোনো প্রকার জোর করা হবে না টিকা নিতে, তারা যখন স্বেচ্ছায় চাইবে তখনই দেয়া হবে।’