অস্ট্রেলিয়ার একাদশে একটা নাম দেখে একটু থতমত খাওয়ার উপক্রম। কুপার কনোলি খেলছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই খেলোয়াড়ের নাম আগে শুনেছেন, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খানিক দুষ্কর। তাছাড়া অন্তর্জালে তার ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান ঘাটলেও সাদামাটা একটা চিত্রই ভেসে উঠবে। তবে কেন তিনি অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পাচ্ছেন?
কুপার কনোলি ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৮ ম্যাচের ক্যারিয়ার। টি-টোয়েন্টিতে ১৪৫ এর বেশি স্ট্রাইকরেট ছাড়া বলার মত আর কিছুই নেই তার পরিসংখ্যানের পাতায়। তবুও তিনি অস্ট্রেলিয়ার একাদশে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বেশ বিরল এক ঘটনা বটে।
কেননা অস্ট্রেলিয়ার একাদশে সুযোগ পেতে হলে যে করে দেখাতে হয় অবিশ্বাস্য কিছু। সেসবের ধারেকাছেও তো নেই তিনি। ব্যাটিং অলরাউন্ডার কনোলি। বোলিংটা করতে জানেন। কিন্তু বাঁ-হাতের অফ স্পিন বোলিংয়েও খুব একটা ধার যে রয়েছে তা বলার উপায় নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৮ ম্যাচে ৯ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
তবে তার ব্যাটিংয়ে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয়। অজি তারকা শন মার্শের ব্যাটিং শৈলীর সাথে বেশ মিল রয়েছে কনোলির ব্যাটিংয়ের। হুবুহু কার্বন কপি বললেও ভুল বলা হবে না। তবে এই কারণে তার জন্য জাতীয় দলের দুয়ার খুলেছে বিষয়টি তেমন নয়।
তার মধ্যে নিশ্চয়ই সম্ভাবনার প্রদীপের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। পরিসংখ্যান পরিপুষ্ট নয়। কিন্তু ক্যামিও ইনিংস খেলতে পটু তিনি। ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস উপহার দিয়েছেন ছোট্ট এই ক্যারিয়ারে। বিগ ব্যাশে পার্থ স্কোর্চার্সের হয়ে ফাইনাল ম্যাচেও ছোট্ট ক্যামিওতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
তাছাড়া মিডল অর্ডারের হাল ধরার সক্ষমতাও রয়েছে তার। এসব কারণেই মূলত তাকে জাতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে হুট করেই তিনি জাতীয় দলে চলে এসেছেন তা নয়। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের অংশ ছিলেন তিনি। যদিও সেই টুর্নামেন্ট খুব একটা ভাল কাটেনি অজি তরুণদের।
তবে সেখান থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট, বিগ ব্যাশের রোশনাইয়ের মঞ্চ পেরিয়ে কনোলি এখন অজিদের মূল ডেরায়। অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট একটা জুয়া খেলেছে বটে। তবে এই জুয়ার ফলাফল সহসাই ধরা দেবে না। অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে, তবে যদি সফলতা এসে ধরা দেয়।