জশ বাটলারের সেঞ্চুরি, বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি আর সাঞ্জু স্যামসনের ম্যাচ জেতানো হাফসেঞ্চুরির আড়ালে পড়ে গিয়েছেন অভিষিক্ত সৌরভ চৌহান। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথমবার আইপিএলে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। অনুজ রাওয়াতের পরিবর্তে এদিন তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, বিশ্বাস রেখেছিলেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস নিজেও।
এই প্রোটিয়া তারকা বলেন, ‘খুব বেশি মানুষ হয়তো তাঁকে (সৌরভ) চেনে না। কিন্তু তাঁর মধ্যে দুর্দান্ত ব্যাটিং দক্ষতা এবং পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য রয়েছে। সবমিলিয়ে সে দারুণ আর শান্ত একটা ছেলে।’
সৌরভের বাবা দিলীপ চৌহানও ক্রিকেটের সঙ্গে বসবাস করেন। না, সাবেক ক্রিকেটার বা কোচ পর্যায়ের কেউ নন; তিনি আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তবে বাবার পরিচয়ে নয়; এই ব্যাটার নিজের গুণেই জায়গা করে নিয়েছে আইপিএলে। গত কয়েক বছরে ঘরোয়া অঙ্গনে তিনি ধারাবাহিক পারফরম করে গিয়েছিলেন।
সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সবশেষ আসরে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। আট ম্যাচ খেলে এই বাঁ-হাতি করেছিলেন ২৫১ রান – ব্যাটিং গড় প্রায় ৩৬ আর স্ট্রাইক রেট ১৮০ এর বেশি! এছাড়া সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচ খেলে ২৮ গড়ে ৪৭৩ রান করেছেন তিনি। এবং এ-সময় দেড়শ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়েছেন।
তাতেই সুযোগ মিলেছে আইপিএলে খেলার, সেজন্যই নিজের রাজ্য দলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমি আরসিবির দলে জায়গা পেয়ে খুব খুশি। আমার সাফল্য কোচ তারক ত্রিবেদী, বাবা-মা এবং গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে উৎসর্গ করতে চাই যারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।’
অভিষেক ম্যাচ অবশ্য মনমতো হয়নি তাঁর; ছয় বল খেলে নয় রান করেছেন কেবল। তবে এখনি হতাশ হওয়ার কিছু নেই, মাত্র তো পথচলার শুরু। বেঙ্গালুরু নিশ্চয়ই ভরসা রাখবে এই প্রতিভাবানের ওপর, তিনি নিজেও চাইবেন সেরাটা দেয়ার। আর এভাবেই হয়তো তৈরি হবে নতুন একজন তিলক ভার্মা কিংবা সুরিয়াকুমার যাদব।