ফিফা বিশ্বকাপ তো শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। ফিফা বিশ্বকাপ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বরাবরই ফুটবলের দারুণ প্রতিভাগুলোকে সামনে নিয়ে আসে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার স্বপ্নটা সব ফুটবলার লালন করে। ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাজনক শিরোপা বলে কথা। এখানে খেলানো হয় বাঘা বাঘা দেশগুলোর সবচেয়ে বাছাইকৃত ফুটবলারদের। অনেক কম বয়সেই আকাঙ্ক্ষিত এই মঞ্চে ফুটবল জাদু দেখানোর সুযোগ ও পেয়ে যান কেউ কেউ! তাদের নিয়েই আজকের এই লেখা।
পেলে, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, কাইলিয়ান এমবাপ্পের মতো ফুটবলাররা সবাই খুব অল্প বয়সেই খেলাধুলার সর্বশ্রেষ্ঠ মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন। লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো বর্তমান তারকারাও আছেন। এই ফুটবলাররা তাদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাদের বিশ্বকাপে আত্মপ্রকাশ করেছিল এবং খেলার কিংবদন্তি হয়ে উঠেছে।
তাহলে বিশ্বকাপে খেলা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় কে? পেলে নাকি মেসি? নাকি রোনালদো? কিংবা অন্য কেউ? চলুন জেনে নেয়া যাক বিশ্বকাপের মঞ্চে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার তালিকায় জায়গা পাচ্ছেন কারা।
- নরম্যান হোয়াইটসাইড (নর্দান আয়ারল্যান্ড)
নরম্যানের অভিষেক ঘটে ১৯৮২ সালে যখন তাঁর বয়স মাত্র সতেরো বছর একচল্লিশ দিন। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁর প্রথম প্রতিপক্ষ দল ছিল যুগোস্লাভিয়া। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের এই ফুটবলার হলেন বিশ্বকাপে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়।
- স্যামুয়েল ইতো (ক্যামেরুন)
ইতো এর বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে মাত্র সতেরো বছর তিন মাস সাত দিন বয়সে। ১৯৯৮ সালে ইতালির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মাঠে নামে ইতো।
- ফেমি ওপাবুনমি (নাইজেরিয়া)
২০০২ সালে মাত্র সতেরো বছর তিনমাস নয়দিন বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফেমি ওপাবুনমি এর বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে।
- সলোমন ওলেম্বা (ক্যামেরুন)
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৯৮ সালে তাঁর বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে। তখন সলোমন ওলেম্বার বয়স ছিল সতেরো বছর ছয়মাস তিনদিন মাত্র।
- পেলে (ব্রাজিল)
পেলের বিশকাপের মঞ্চে অভিষেক ঘটে মাত্র সতেরো বছর সাত মাস চব্বিশ দিন বয়সে। ১৯৬৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তিনি।
- বার্থলোমিউ ওগবেচ (নাইজেরিয়া)
২০০২ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অভিষেক ঘতে এই ফুটবলারের। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র সতেরো বছর আট মাস একদিন।
- রিগোবার্ট সং (ক্যামেরুন)
১৯৯৪ সালে সুইডেনের বিপক্ষে রিগোবার্ট সং এর অভিষেক ঘটে যখন, তখন তাঁর বয়স ছিল সতেরো বছর এগারো মাস আঠারো দিন।
- কার্বালহো লেইটে (ব্রাজিল)
যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে ১৯৩০ সালে তাঁর অভিষেক ঘটে আঠারো বছর পঁচিশ দিন বয়সে।
- ম্যানুয়েল রসাস (মেক্সিকো)
মাত্র আঠারো বছর দুই মাস ছাব্বিশ দিন বয়সে রসাস এর অভিষেক ঘটে। ১৯৩০ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নেমেছিলেন তিনি।
- ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন (ডেনমার্ক)
২০১০ সালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র আঠারো বছর চার মাস বয়সে বিশ্বকাপের রঙ্গিন মঞ্চে অভিষেক ঘটে তাঁর।
এবার একটু সময়ের দুই সেরার প্রসঙ্গে আসি। লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সার্বিয়া এবং মন্টিনিগ্রোর বিপক্ষে আঠারো বছর এগারো মাস চব্বিশ দিন বয়সে লিওনেল মেসির বিশ্বকাপে অভিষেক হয়। তিনি সর্বকনিষ্ঠ আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
অন্যদিকে ২০০৬ সালে মাত্র একুশ বছর চার মাস সাত দিন বয়সে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। যদিও, এই তালিকায় তিনি ঠিক আসেন না।