২১০ রানের লক্ষ্য, অথচ ৬৫ রান তুলতেই দিল্লি ক্যাপিটালসের অর্ধেক ব্যাটার ফিরে গিয়েছেন প্যাভিলিয়নে। তবু লড়াই থেমে যায়নি, বরং আরো আগ্রাসন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রতিপক্ষের ওপর। শেষমেশ দুর্গম একটা পথ পাড়ি দিয়ে তাঁরা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। এই মহাকাব্যিক জয়ের নায়ক যদি হন আশুতোষ শর্মা, তাহলে সহ-নায়কের ভূমিকায় রাখতে হবে ভিপরাজ নিগামকে। স্রেফ ১৫ বলে ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
কিন্তু কে এই ভিপরাজ নিগাম, প্রায় কেউই সম্ভবত শোনেনি নামটা। শুনবেই বা কিভাবে, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই তো এই তরুণের আইপিএল যাত্রার শুরুটা হয়েছে। আর অভিষেকেই তিনি জন্ম দিয়েছেন অবিশ্বাসের, বিস্ময়কর একটা গল্প লিখেছেন উইলো হাতে।
এই ডানহাতি মূলত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের এক লেগ স্পিনার। তবে তাঁর উত্থান ঘটেছিল ব্যাটিং দিয়ে, ২০২৩ সালে ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে এক ওভারে ২৮ রান তুলে সাড়া ফেলে দেন তিনি। একই বছর আরেক ম্যাচে আট নম্বরে নেমে ২৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন।
২০২৪ সালেও ধারাবাহিক সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতেও ধারাবাহিক ছিলেন ভিপরাজ, ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে ২০ উইকেট পেয়ে হয়েছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। আবার সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে সাতের কম ইকোনমিতে আট উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ক্যামিও খেলার সামর্থ্য প্রমাণ করেন। বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে রিংকু সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ৪৮ রানের জুটি তাঁকে আগ্রহের কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
সেদিন আট বলে অপরাজিত ২৭ রান করেছিলেন এই উদীয়মান অলরাউন্ডার। দিল্লি ক্যাপিটালসের নিজদের মধ্যে আয়োজিত ম্যাচেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। সাতটি চার এবং দুই ছক্কার মারে ২৯ বলে ৫৪ রান করেছিলেন তিনি।
নিলামে ভিপরাজকে হয়তো লেগ স্পিনার হিসেবেই নিয়েছিল দিল্লি, তবে কাজের কাজটা তিনি করলেন ব্যাট হাতে। যদিও এতটুকুতে তিনি থেমে যাবেন না, লখনৌর বিপক্ষে সহ-নায়কের ভূমিকায় ছিলেন, আগামী দিনে নায়ক হওয়ার মত কিছু করতে চাইবেন নিশ্চয়ই।