২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ ওমানের মুখোমুখি হয় নামিবিয়া। আর এই ম্যাচেই দেখা মিলল এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সুপার ওভারের। ওমানের দেওয়া মাত্র ১০৯ রানের জবাবে নামিবিয়ারও ইনিংস থামে ১০৯ রানে। ওমানের বোলার মেহরান খানের অসাধারণ বোলিং দক্ষতায় ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ে।
ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য নামিবিয়ার দরকার ছিল ৫ রান, হাতে ছিল ছয় উইকেট। ক্রিজে ৪৫ রানে ব্যাট করছিলেন নামিবিয়ার ব্যাটার জ্যান ফ্রাইলিনক ও অপর প্রান্তে ছিলেন তার সতীর্থ ডেভিড ভিসা। এ সময় ওমানের অধিনায়ক বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মেহরান খানকে। এর আগে ২ ওভার বল করে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই তিনি সেট ব্যাটার জ্যান ফ্রাইলিনকের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন। বলটি প্যাডে লেগে তার স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। নতুন ব্যাটার জেন গ্রিন তার খেলা প্রথম বলে রান নিতে না পেরে ওভারের তৃতীয় বলে মেহরান খানের এলবিডব্লুর শিকার হন। বাকি ৩ বলে মালান ক্রুগার ও ডেভিড ভিসা তাদের সর্বচ্চ চেষ্টা করেও ৪ রানের বেশি নিতে সক্ষম হননি। ফলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে শেষ ওভারে এটিই সব থেকে কম রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালে দক্ষিন আফ্রিকার ডেল স্টেইন শেষ ওভারে ৭ রান করতে দেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের।
২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের টীম সাউদি এবং ২০১৬ তে আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবি যথাক্রমে ৮ ও ১০ রান নিয়ে শেষ ওভারে বল করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন নিজ নিজ দলকে। ২০১৬ সালে হার্দিক পান্ডিয়া শেষ ওভারে ১১ রান করতে দেননি বাংলাদেশকে।
তবে এমন আসাধরণ শেষ ওভার করার পরেও সুপার ওভারে ওমানের অধিনায়ক মেহরান খানকে বল না দিয়ে বল তুলে দেন বিলাল খানের হাতে। যেখানে নামিবিয়ার ব্যাটাররা ২১ রান তোলেন সুপার ওভার থেকে। জবাবে মাত্র ১০ রান করতে সক্ষম হন ওমানের ব্যাটাররা। ফলে তীরে গিয়েও তরী ডোবে ওমানের।