বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কোটি কোটি অর্থ আর বিশ্বসেরা খেলোয়াড় – এই দুয়ের মিশেল আইপিএলকে এনে দিয়েছে আকাশ সমান জনপ্রিয়তা। আট দল নিয়ে শুরু হওয়া এই লিগ এখন ১০ দলের।
অন্যান্য আসরগুলোর চেয়ে এবারেরটি ব্যতিক্রম, চলছে যেন রানের পাহাড় গড়ার প্রতিযোগীতা। এক ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তুলেছে ২৮৭ রান, আবার ছক্কা হাকিয়েছে ৪২ টি। সব মিলিয়ে বিশ্বরেকর্ড দেখেছে আইপিএল।
তবে, আলোর নিচে আছে অন্ধকার। খেই হারিয়ে ফেলছে অনেক দল, অনেকগুলো বড় নাম। যেমন, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সাথে আছে ম্যানেজমেন্টের চমকপ্রদ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করার মাশুল গুণতে হল দলটিকে।
মুম্বািই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিনা তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ, এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচের মাত তিনটিতে জিতে তলানিতে পড়ে আছে ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দলটি। দলের সাথে সাথে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজের সাথে এক আলাপে হার্দিক পান্ডিয়া এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যনেজমেন্টের তীব্র সমালোচনা করেছে। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হিসাবে মেয়াদকালে পান্ডিয়া ধারাবাহিকভাবে চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছিলেন। যার কারণে, পান্ডিয়া খুব ভালো রান পেয়েছিলেন । ২০২৩ সালে আইপিএল এ তিনি ১৬ ম্যাচে ৩১ গড়ে ৩৪৬ রান করেছিলেন। তবে এবারের আসরে তিনিও রান ক্ষরায় ভুগছেন।
এজন্য বীরেন্দ্র শেবাগ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যনেজমেন্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন। টিম ডেভিডের মতো বিশ্ব সেরা খেলোয়াড়দের সাত ও আট নম্বর ব্যাটিং পজিশনে নেমে যাওয়া দেখে তিনি তার বিস্ময় ও বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি দলের মালিকদের এবং টিম ম্যনেজমেন্টের কাছে ব্যাটিং অর্ডারে এই ধরনের কঠোর পরিবর্তনের পিছনে যুক্তির বিষয়ে ব্যাখ্যার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়া যখন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ছিলেন তখন ধারাবাহিকভাবে ৪ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। মুম্বাই ম্যানেজমেন্টকে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, তাঁদের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন কেনই বা করা হচ্ছে?’
টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে সামর্থ্যবানদের ওপরের দিকে খেলানোর পরামর্শ দিলেন শেবাগ। তিনি বলেন, ‘কেকেআর আন্দ্রে রাসেলকে মাত্র দুটি বল খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হার্দিক পান্ডিয়াকে সাত এবং টিম ডেভিডকে আট নাম্বার ব্যাটিং পজিশনের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছিল। কিন্তু, তাতে লাভ হল কি, দল অনেক ডেলিভারি বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়!’