প্রথমবারের মতো যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি ২০টি দলও অংশ নেবে এই আসরেই। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আগে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজিত হলেও বড় মাপের টুর্নামেন্ট এটিই প্রথম। এরই মধ্যে বৈশ্বিক এ আসরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। ভেন্যুগুলো হচ্ছে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি, ফ্লোরিডার ব্রোয়ার্ড কাউন্টি এবং নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি।
তবে বিস্ময় হয়ে এসেছে, নিউইয়র্ক ভারতের তিনটি ম্যাচ পেলেও ডালাস পাচ্ছেনা একটিও। ভারতের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে।
৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ স্টেডিয়ামে অনুকূল সুবিধা বাড়াতে ‘মডিউলার স্টেডিয়াম সলিউশনস’ প্রয়োগ করা হবে। মূলত এটি হলো মাটির ওপর ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ব্যয়-কার্যকর অবকাঠামো, যা দ্রুত নির্মাণ করা যায়।
কিন্তু অনেকেই অবাক হয়েছে ডালাসে ভারতের কোনো ম্যাচ না থাকাই। সর্বশেষ মেজর ক্রিকেট লিগও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাছাড়া বেশিরভাগ প্রবাসী ভারত থাকেন এই শহরেই। তারপরও কেন এখানে কোনো ভারতের ম্যাচ রাখা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জোরেশোরেই। তবে মূলত ডালাসের স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতার কারণেই এখানে ম্যাচ রাখা হয়নি।
আয়োজকদের ভাষ্যমতে, এই স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র সাড়ে সাত হাজার। এখন যে কোনো ইভেন্টেই ভারতের ম্যাচে দর্শক চাহিদা থাকে অনেক। তাছাড়া ডালাস থেকে নিউইয়র্কের দূরত্ব ঘন্টা খানেকের। তাই তুলনামূলক বড় স্টেডিয়ামেই ভারতের ম্যাচ রাখা হয়েছে।
আসন্ন বিশ্বকাপের ৪৮ টি ম্যাচের মধ্যে ১৬ টি ম্যাচ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে নিউইয়র্কে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৮ টি। আর বাকি দুই ভেন্যু ফ্লোরিডা ও ডালাসে হবে ৪ টি করে ম্যাচ। যদিও ফ্লোরিডার ব্রোয়ার্ড কাউন্টিতে ভারতের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভারতের ম্যাচ না পেলেও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচ আবার গড়াবে ডালাসেই।