সবাই এনওসি পেলেও আঘা কেন বঞ্চিত?

সামনেই টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর ব্যস্ততা। এ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রকাশ করেছে এনওসি পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১২ জন খেলোয়াড় ছাড়পত্র পেলেও সবুজ সংকেত পাননি কেবল অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। যা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।

সামনেই টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর ব্যস্ততা। এ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রকাশ করেছে এনওসি পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১২ জন খেলোয়াড় ছাড়পত্র পেলেও সবুজ সংকেত পাননি কেবল অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। যা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।

এর পেছনে মূল কারণ কি? অনেকে বলছেন বোর্ডের সাথে আঘার সম্পর্কটা নাকি ঠিকঠাক নেই। তবে বাস্তবতা তা বলে না। আদতে সালমানকে নিতে কেউ আগ্রহই দেখায়নি। ফলে এনওসি পাওয়া না পাওয়া আলাদা কোনো গুরুত্ব বহন করছে না।

অবশ্য আগ্রহ না দেখানোর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। এ বছরের পরিসংখ্যানটাও যে নেই তাঁর পক্ষে। ৩২ ইনিংসে ২৬.০৪ গড়ে তাঁর সংগ্রহ ৬২৬ রান। স্ট্রাইকরেটও মাত্র ১১৫.৩১। নামের পাশে অলরাউন্ডার ট্যাগ থাকলেও বল হাতে তেমন কিছুই তিনি করতে পারেননি। ১১ ম্যাচে বল হাতে শিকার করেছেন মোটে তিন উইকেট।

অন্যদিকে যাদের এনওসি দিয়েছে সেই প্রক্রিয়াটাও বেশ জটিল ছিল বটে। এশিয়া কাপের পরই পিসিবি প্লেয়ারদেরকে এনওসি বাতিলের ইমেইল পাঠায়। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জোরালো মধ্যস্থতায় সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়।

সালমান দল না পেলেও এবারের বিগ ব্যাশে মাঠে নামতে যাচ্ছেন বাবর আজম, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান এবং হারিস রউফ। বিপিএলেও দল পেয়েছেন ১১ জন পাকিস্তানি, আবরার আহমেদ, উসমান খান, শাহিবজাদা ফারহান, সায়িম আইয়ুব, মোহাম্মদ নাওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম, মোহাম্মদ আমির, জাহানদাদ খান এবং খাজা নাফে।

পিটিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, আঘার প্রতি এ সিদ্ধান্তের পেছনে ক্রিকেটীয় কারণের চেয়ে বাজার বাস্তবতাই বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই তো বোর্ডের সাথে দ্বন্দ নয় বরং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আঘাকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি, তাতেই প্রয়োজন হয়নি এনওসির।

লেখক পরিচিতি

ক্রীড়াচর্চা হোক কাব্য-কথায়!

Share via
Copy link