ঝলমলে রোদ হৃদের পানিতে দিয়েছে রুপালি আভা। অন্যদিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ডাম্বুলা রক। এরই মাঝে রানগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের অবস্থান। এই মাঠেই হবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
শ্রীলঙ্কার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা শেষ করবার নয়। সেই দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন ঘটেছে ক্রিকেটের। এই ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অবকাঠামো খুব একটা উন্নত নয়। তবে সেসব ফিঁকে হয়ে যায় সবুজের সজীবতায়, পাহাড়ের সুউচ্চ দৃঢ়তায়।
এখানে আবার বাংলাদেশের সুখস্মতিও পেয়েছে ঠাঁই। বেশিদিন আগেরও কথা নয় সেটি। সেসব ছাপিয়ে এই মাঠের রয়েছে নিজস্ব এক ইতিহাস। স্রেফ ১৬৭ দিনে গড়ে ওঠে ডাম্বুলার এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। মূলত সাদা বলের ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা হয়েছে এটি।
২০০১ সালের ২৩ মার্চ ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্টেডিয়াম। এরপর আরও ৫৬টি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে পাঁচটি ম্যাচ। ২০১০ সালের এশিয়া কাপ অবশ্য ভুলেই যেতে চাইবে বাংলাদেশ দল।
সেবার ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ দল। এরপর প্রায় বছর সাতেক পরে আবার এই মাঠে নামে বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। প্রথম ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ৯০ রানের বড় জয় পেয়েছিল সফরকারী দল।
পরের ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টির জলে। তবে এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। অবশ্য সর্বসাকুল্যে এই স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে আটটি। যার মধ্যে পাঁচ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দল পেয়েছে জয়। অতএব টস ভাগ্যে জয়লাভ করলে লিটন দাসের প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই হতে পারে যুক্তি সংগত।
তবে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আশার পালে লাগছে না হাওয়া। কিন্তু ডাম্বুলার স্টেডিয়াম জুড়ে বাতাসের আধিপত্য ম্যাচেও ফেলতে পারে দারুণ প্রভাব।