আবারো আইসিসির টুর্নামেন্ট, আবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া মহারণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই পরাশক্তি। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত হয়েছে এ গ্রুপের টেবিল টপার। অন্যদিকে বৃষ্টি বাধায় টেবিলের দুইয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করতে হয়েছে অজিদের। আর সেজন্যই ফাইনালের আগে আরো একটা ফাইনালের সুবাস বইতে শুরু করলো, সেই সাথে টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতিশোধের উত্তাপ।
একদিকে অজেয় ভারত; নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিলো তাঁরা, দ্বিতীয় ম্যাচে তো চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেয়নি। আর সবশেষ ম্যাচে ট্যাকটিক্সের লড়াইয়ে কিউইদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছে দলটা। সবমিলিয়ে তাঁদের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশ ছোঁয়া।
অন্যদিকে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্কদের ছাড়া অস্ট্রেলিয়া নখদন্তহীন বাঘ হয়ে এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কিন্তু তাঁদের কি আর এভাবে বিচার করা যায়? কাগজ-কলমের হিসেব দিয়েই তাঁদের সমীকরণ থেকে বাদ দেয়া যায়?
যায় না, আর এই ব্যাপারটা ভারতের চেয়ে ভাল কেউই বলতে পারবে না। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে আহমেদাবাদের জনসমুদ্রকে চুপ করিয়ে দেয়ার কথা কি ভোলা যায় নাকি? টানা দশ ম্যাচ জিতে শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়া টিম ইন্ডিয়া সেদিন বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল অজিদের অহমিকার কাছে।
পুরো ভারত তখন স্বপ্নে বিভোর হয়েছিল, এক যুগ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো, কামিন্সের জাদুতে ধ্বংসস্তুপে রূপ নিলো টিম ইন্ডিয়া। সেদিনের কষ্ট কি এত দ্রুত ভুলে যাবেন রোহিত বাহিনী?
মোটেই না, বরং সেই ২০১৫ সালের গল্পও ফিরিয়ে আনতে চাইবেন তাঁরা। সেবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে ক্যাঙ্গারুদের কাছে হেরে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁদের। অর্থাৎ আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউটে শেষ দুইবার দেখা হয়েছিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া – দু’বারই জয়ী দলের নাম অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয়বার কি ঘটতে যাচ্ছে? দুবাইয়ে ভারতীয় স্পিন বিষে বিষাক্ত হয়ে কাটা পড়বে স্টিভ স্মিথের দল নাকি আরো এবার এশিয়ান জায়ান্টরা তাঁদের প্রতিশোধের আগুনে পুড়িয়ে দিবে অস্ট্রেলিয়াকে – উত্তরটা অবশ্য কেবল সময়ই দিতে পারবে।