বাংলাদেশ দলের এমন ছন্নছাড়া অবস্থাতেও কাউকে দেখে যদি মনে খানিকটা আশা জাগে, তিনি শরিফুল ইসলাম। অথচ ভাগ্যের কি পরিহাস, তাঁকেই কি না ইনজুরির কবলে পড়তে হল। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ ওভারে আঙুলে ব্যাথা পেয়েছেন তিনি, ফলে ওভার শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
আপাতত চোটের অবস্থা নিয়ে কিছু বলা না গেলেও ধারণা করা যাচ্ছে এক থেকে দুই সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে পারেন এই পেসার। তবে চূড়ান্ত তথ্য জানা যাবে, মেডিক্যাল টেস্টের পরেই।
বাংলাদেশের হাতে অবশ্য সময় আছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী আট তারিখে বিশ্বকাপ শুরু হবে টাইগারদের। অর্থাৎ সাতদিন বিশ্রামের সুযোগ এমনিতেই পাবেন শরিফুল, কিন্তু চোট যদি সত্যিই গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে তো বটেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাথেও তাঁকে দেখা যাবে না। আর তেমনটা হলে বিপদেই পড়তে হবে নাজমুল শান্তদের।
ইনিংসের তখন বিশতম ওভার, হার্দিক পান্ডিয়াকে দারুণ একটা ইয়র্কার করেছিলেন এই বাঁ-হাতি। একেবারে বোলার বরাবর তখন স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেন পান্ডিয়া, আর সেই শট এসে লাগে টাইগার পেসারের হাতের তালুতে। মুহূর্তের মাঝে ফিজিও মাঠে আসেন, এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাগ আউটের দিকে নিয়ে যান তাঁকে।
মাঠ ছাড়ার আগে অবশ্য দারুণ পারফর্ম করেছিলেন এই তারকা, নিজের প্রথম ওভারেই আউট করেছিলেন ইনফর্ম সাঞ্জু স্যামসনকে। নতুন বল হাতে পরাস্ত করেছেন রোহিত শর্মা, ঋষাভ পান্তদের। ডেথেও নিজের ছন্দ ধরে রেখেছিলেন তিনি সবমিলিয়ে ৩.৫ ওভার বল করে খরচ করেছেন ২৬ রান।
আপাতত প্রার্থনা করতে হচ্ছে শরিফুলের জন্য। এই মুহূর্তে দেশসেরা বোলার বলা যায় তাঁকে, বিশ্বকাপেও তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে সবাই। তাই তো দ্রুতই সব সংশয় কাটিয়ে মাঠে ফেরা প্রয়োজন তাঁর, তিনি নিজেও হয়তো সেটাই চাইছেন খুব করে।