বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারে তৈরি হয়েছে অদৃশ্য এক শূন্যতা! আর সেখানেই আশার আলো হতে পারেন হৃদয়-জাকেররা।
আসন্ন আরব আমিরাত এবং পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে দুদিন আগেই। এই সিরিজকে সামনে রেখেই বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আর এই প্রস্তুতির এক বিশেষ ক্লাসে দেখা গেল, ফিল সিমন্স এবং মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের কাছে দীক্ষা নিচ্ছেন হৃদয় এবং জাকের।
আসন্ন সিরিজে মিডল অর্ডারের দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে এই দুই ব্যাটারকে। তাই তো দুই কোচ বাড়তি সতর্ক তাদের নিয়ে। ফিল সিমন্সের ক্লাসে হৃদয় আর মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বেছে নিয়েছেন জাকের আলীকে।
অফসাইডে তৌহিদ হৃদয়ের দুর্বলতার কথা সবারই জানা। তাই তো ফিল সিমন্স বাড়তি নজর দিয়েছেন অফসাইড শট খেলায়। বিশেষ করে স্কয়ার কাট নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করেছেন হৃদয়।
অন্যদিকে জাকের আলির ব্যাটিং ক্লাসে কড়া নজর রেখেছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে থাকাকালীন এই কোচের স্নেহভাজন ছিলেন জাকের আলি। অনেকটা নিজের মতো করেই জাকেরকে গড়েছেন সালাহউদ্দিন। তাই তো ভুল হলে কাছে গিয়ে শুধরে দিয়েছেন, জাকেরও চেষ্টা করেছেন আরও ভালো করার।
দেশের ক্রিকেটে তৌহিদ হৃদয়ের আগমনটা বিপিএল দিয়েই। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং পাওয়ার হিটিং অ্যাবিলিটিই তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে, সুযোগ পান জাতীয় দলে। ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ৩২ ম্যাচ, রান করেছেন ৬৮৪। তার স্ট্রাইক রেটটাও প্রায় ১৩০-এর কাছাকাছি।
জাকের আলি অনিকের ক্ষেত্রেও প্রায় একই গল্প। বিপিএলে ফিনিশার হিসেবে দারুণ পারফরম্যান্স জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয়। এখন পর্যন্ত ২২ ম্যাচ খেলে ৩৭৪ রান করেছেন, স্ট্রাইক রেটটাও ১২২.২২ যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব একটা খারাপ নয়।
টি-টোয়েন্টিতে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম এই দুজনকে নিয়ে আশাবাদী করে তুলছে। হৃদয় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ভারতের বিপক্ষে, সেই ম্যাচে খেলেছিলেন অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস।
অন্যদিকে জাকের আলিও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। শেষ খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ব্যাট হাতে সর্বশেষ ইনিংসটাও অপরাজিত ৭২ রানের।
বাংলাদেশ দল এখন ট্রানজিশন পিরিয়ড পার করছে। মুশফিক-রিয়াদ চলে যাওয়ার পর দলের মিডল অর্ডার কিছুটা নড়বড়ে হয়েছে। তবে সে জায়গাটা আশা জাগাচ্ছেন তৌহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি। এখন দেখার বিষয় ভাঙা জাহাজের নাবিক হয়ে তীরে ফিরতে পারবেন তো তারা? নাকি তলিয়ে যাবেন সমুদ্রের অতল গভীরে?