বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এবারে কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম দাবিদার তারাই। কানাডাকে ২ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনাই করেছে লিওনেল মেসির দল। পুরো ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখিয়েছে আলবি সেলেস্তারা। অবশ্য এই গোল ব্যবধান আরও খানিকটা বাড়িয়ে নিতে পারত জুলিয়ান আলভারেজরা।
গোলের সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায়। কিন্তু কানাডার গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। নতুবা একেবারেই শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। সেই গোলের জন্যে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৪৯ মিনিট অবধি।
প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ব্যবধানেই। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতর সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন আলভারেজ। ম্যাক অ্যালিস্টার কানাডার গোলরক্ষককে গোলবার ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য করেন। আর তাতেই বল পৌছে যায় আলভারেজের পায়ে। চৌকস স্ট্রাইকারের মত গোল করতে কোনরকম ভুল করেননি তিনি।
এরপর লিওনেল মেসি আরও দুইবার ওয়ান অ্যান্ড ওয়ান সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। নতুবা তখনই গোল সংখ্যা বাড়তে পারত। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ব্যবধান ২-০ করেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা লাউতারো মার্টিনেজ।
এই জয়ে অবশ্য একটা দুঃখ ঘুচেছে লিওনেল স্কালোনির। তার অধীনে এর আগে কোন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি আর্জেন্টিনা। সে রেকর্ডের অবশেষে সমাপ্তি ঘটেছে। সেজন্যে অবশ্য স্কালোনি শীষ্যদের কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অনেক।
পুরো ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখিয়েছে। ৬৫ শতাংশ সময়ে বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল মেসিরা। ১৯ টি শট চালিয়েছে সকলে মিলে। ৯টি শট রেখেছিল গোলবারে। কানাডা যথেষ্ট চেষ্টা করেও শেষ অবধি পরাজিত হয়েছে। এখানেই সম্ভবত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সাথে তাদের পার্থক্য।