নোমান আলীকে কেউ যেন থামাতেই পারছেনা! এবার প্রথম পাকিস্তানি স্পিনার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। অবশ্য, সেই হ্যাটট্রিকের রেশ কাটতে না কাটতেই পাল্টা আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছে ক্যারিবিয়ান টেল এন্ডাররা।
নোমান আলীর রেকর্ডটা মুলতানে এদিন বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ ছিল। সাকলাইন মুশতাক, আব্দুল কাদির, মুুশতাক আহমেদ কিংবা দানিশ কানেরিয়া – পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনারদেরও এই কীর্তি ছিল না এতদিন।
ইনিংসে ১২ তম ওভারে বল হাতে এসে পরপর তিন বলে নোমান সাজঘরে ফেরান ক্যারিবীয় ব্যাটার জাস্টিন গ্রেভেস, টেভিন ইমলাস ও কেভিন সিনক্লিয়ারকে। আর এরই মধ্য দিয়ে প্রথম পাকিস্তানি স্পিনার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে টেস্টে সর্বনিম্ন ৫৩ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মাত্র ৩৮ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর এদিন এই ঐতিহাসিক অপমানের রেকর্ডও ভেঙে ফেলার দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল উইন্ডিজ দল।
শেষ অবধি অবশ্য সেই লজ্জায় পড়তে হয়নি সফরকারীদের। কারণ নবম উইকেট জুটিতে কেমার রোচকে সাথে নিয়ে ৪১ রান যোগ করেন গুদাকেশ মোটি। নোমান আলীর পঞ্চম আঘাতে সেই জুটি ভাঙে।
ব্যাট হাতে নামা শেষ ব্যক্তি জোমেল ওয়ারিকানের সাথেও সেই একই লড়াই অব্যহত রাখেন মোটি। আর সেখানেই আসে আসল চমক। পুরো ইনিংস জুড়ে যা হয়নি সেটাই হয় দশম উইকেট জুটিতে।
একদম শেষে গিয়েই ইনিংসের সেরা জুটিটা পায় ক্যারিবিয়ানরা। বোর্ডে যোগ হয় আরও ৬৭ রান। মোটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৩৬ রান আসে ওয়ারিকানের ব্যাট থেকে। এমন এক উইকেটে খেলা হচ্ছে যে ৬৭ রানের জুটিটাই ম্যাচের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হয়ে যেতে পারে!