‘বুড়ো’দের সেরা একাদশ

একাদশে সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হিসাবে আছেন তিন জন করে ক্রিকেটার। এছাড়া ভারত ও অস্ট্রেলিয়া থেকে জায়গা পেয়েছেন দু’জন করে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ইমরান তাহির।

অভিজ্ঞতার দাম আসলে বলে শেষ করা যাবে না। ক্রিকেটের মাঠেও অজস্র ক্রিকেটার অভিজ্ঞতা দিয়ে খেলে গেছেন লম্বা সময়। সেই পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এবার এবার বুড়োদের নিয়ে ওয়ানডে একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন। ৩৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ক্যারিয়ারে দারুণ সময় পার করেছেন এমন ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে এই একাদশে।

উইজডেনের বুড়ো একাদশে নেই কোন বাংলাদেশি। এছাড়াও জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের কোন ক্রিকেটারের।

একাদশে সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।  পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হিসাবে আছেন ৩ জন করে ক্রিকেটার। এছাড়া ভারত ও অস্ট্রেলিয়া থেকে জায়গা পেয়েছেন দু’জন করে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ইমরান তাহির।

বুড়োদের এই দলে ওপেনার হিসেবে আছেন ৩৫ বছরের পর সবচেয়ে বেশি রান করা তিলকারত্নে দিলশান ও ম্যাথু হেইডেন। এছাড়া ব্যাটসম্যান হিসাবে আরও আছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সাথে কুমার সাঙ্গাকারা, জহির আব্বাস ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। একাদশে হেইডেন ও সাঙ্গারাকারা থাকলেও উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে থাকবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

এই একাদশে অলরাউন্ডার ও অধিনায়ক হিসাবে থাকবেন ইমরান খান। সুলতান অব স্যুইং ওয়াসিম আকরামের সাথে পেস অ্যাটাকে থাকবেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসাবে থাকবেন মুত্তিয়া মুরালিধরন ও ইমরান তাহির। এবার জানা যাক, সেই একাদশের বিস্তারিত।

  • তিলকারত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)

৩৮ বছর বয়সে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৭৪ ওয়ানডেতে ৩৭.৯৪ গড়ে ৭৯৬৯ রান করেন তিনি।

  • ম্যাথু হেইডেন (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেন তিনি। ২০০৮ সালে অবসর নেওয়ার আগে ১৬১ ওয়ানডেতে ৪৩.৮০ গড়ে ৬১৩৩ রান করেন তিনি।

  • শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)

ভারতের হয়ে ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে ওয়ানডেতে ৪৬৩ ম্যাচে ৪৪.৮৩ গড়ে ১৮৪২৬ রান সংগ্রহ করেন শচীন টেন্ডুলকার। ৩৯ বছর বয়সে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন তিনি।

  • কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)

৩৮ বছর বয়সে ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়া সাঙ্গাকারার ৪০৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেন ৪১.৯৮ গড়ে ১৪২৩৪ রান।

  • জহির আব্বাস (পাকিস্তান)

৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন জহির আব্বাস। দেশের হয়ে মাত্র ৬২ টি ওয়ানডে খেলেন তিনি। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭.৬২ গড়ে ২৫৭২ রান।

  • মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)

ভারতের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক ৩৮ বছর বয়সে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। এর আগে দেশের হয়ে ৩৫০ ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে সংগ্রহ করেন ১০৭৭৩ রান।

  • ইমরান খান (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান ওয়ানডে থেকে অবসর নেন ৪০ বছর বয়সে। এর আগে দেশের হয়ে ১৭৫ ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ৩৭০৯ রান ও বল হাতে ১৮২ উইকেট শিকার করেন।

  • ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান)

সুলতান অব স্যুইং খ্যাত ওয়াসিম আকরাম ওয়ানডে খেলেন ৩৮ বছর বয়স পর্যন্ত। অবসরের আগে ৩৫৬ ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ৩৭১৭ রানের সাথে বল হাতে শিকার করেন ৫০২ উইকেট।

  • গ্লেন ম্যাকগ্রা (অস্ট্রেলিয়া)

৩৮ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার আগে এই পেসার ২৫০ ওয়ানডেতে শিকার করেন ৩৮১ উইকেট।

  • মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা)

৪০ বছর বয়স পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এই বোলার। এই সময় ৩৫০ ওয়ানডেতে দেশের হয়ে ৫৩৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।

  • ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)

বর্তমান ক্রিকেটারদের ভিতর এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন শুধু ইমরান তাহিরই। ৪১ বছর বয়সী ইমরান তাহির ১০৭ ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত শিকার করেছেন ১৫৭ উইকেট।

  • উইজডেনের বুড়োদের ওয়ানডে দল: তিলকারত্নে দিলশান, ম্যাথু হেইডেন, শচীন টেন্ডুলকার, কুমার সাঙ্গাকারা, জহির আব্বাস, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (উইকেটরক্ষক), ইমরান খান (অধিনায়ক), ওয়াসিম আকরাম, মুত্তিয়া মুরালিধরন, ইমরান তাহির, এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...