ভারতের বিপক্ষে বরাবরই জ্বলে উঠেন ট্রেন্ট বোল্ট। বিশেষ করে ভারতীয় টপ অর্ডারের শক্ত পরীক্ষা নেন তিনি; আর প্লে-অফ হলে তো কথাই নেই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে বিরাট কোহলিকে দেখে বোধহয় সেই স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে তাঁর। তাই তো এলিমেনটর ম্যাচে রূদ্র রূপে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন কিউই পেসার। নতুন বল হাতে আরো একবার নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর সৃষ্ট ক্ষতি পরে আর পূরণ করতে পারা যায়নি, তাই তো ফাফ ডু প্লেসিসের দলকে থামতে হয়েছে বড় সংগ্রহের অনেক আগেই।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান খরচ করেছেন বোল্ট, বিনিময়ে শিকার করেছেন এক উইকেট। তবে তাঁর বোলিং সবচেয়ে মুগ্ধ করেছে ইনিংসের শুরুতে। নতুন বলে তিন ওভারের স্পেলে তিনি নাভিশ্বাস তুলেছেন ব্যাটারদের।
প্রথম ওভারেই এই বাঁ-হাতিকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। সেই সুযোগে বাইশ গজে রীতিমতো বিষ ছড়িয়েছেন তিনি, সেই ওভারে স্রেফ এক রান দিয়েছেন। ডু প্লেসিস কিংবা কোহলি কেউই বুঝে উঠতে পারেননি তাঁর আউট সুইং আর ইনসুইং।
পরের ওভারেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন এই বোলার, হাতই খুলতে দেননি দুই ওপেনারকে। একের পর এক ডট বল আদায়ের পুরষ্কার অবশ্য ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে পেয়েছেন তিনি; আগের ম্যাচের নায়ক প্রোটিয়া ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লে শেষে তাঁর বোলিং স্পেল ছিল এমন ৩-০-৬-১, স্রেফ অবিশ্বাস্য!
এমন স্পেলকে আরো ফলপ্রসূ করেছেন রবিচন্দন অশ্বিন, টানা চার ওভার বল করে ব্যাঙ্গালুরু মাঝের ওভারে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই দেননি তিনি। আর নিজের শেষ ওভারে সেট হয়ে যাওয়া ক্যামেরন গ্রিন এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নিউজিল্যান্ডের আশা ভরসার কেন্দ্রে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট। তাই তো কিউই সমর্থকেরা দারুণ খুশি হবে তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে। সেই সাথে রয়্যালস পরিবারেরও শিরোপা জেতার স্বপ্নের পাল ফুলে উঠবে।