ক্রিকেটে কত রকম একাদশ নির্মানেরই নজীর আছে। বিভিন্ন দশক, সময়, অঞ্চল বা সর্বকালের সেরা একাদশ বানানোর চল খুবই প্রচলতি। তবে, কেবল মাত্র একটা নির্দিষ্ট দিনে জন্ম হওয়াদের নিয়ে একাদশ নির্মানের নিশ্চয়ই নজীর থাকার কথা নয়।
সেই নির্দিষ্ট বিশেষ দিন হল ‘ক্রিসমাস ডে’ অর্থাৎ বড়দিন। এই দিনে জন্মগ্রহণকারী টেস্ট ক্রিকেটারদের একাদশটা কেমন হবে? – চলুন দেখে নেওয়া যাক।
- অ্যালিস্টেয়ার কুক (ইংল্যান্ড)
একজন ধ্রুপদী ঘরানার টেস্ট ওপেনার, ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ আর সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
- মার্কাস ট্রেসকোথিক (ইংল্যান্ড)
আক্রমণাত্মক ইংরেজ বাঁ-হাতি ওপেনার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ হাজারের বেশি রানের মালিক, ২০০৫ অ্যাশেজ জয়ের অন্যতম রূপকার। মানে, একাদশের দু’জন ওপেনারই ইংলিশ।
- মনসুর আখতার (পাকিস্তান)
আশির দশকে খেলা পাকিস্তানি টেস্ট ওপেনার, ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ‘রেকর্ড’ সর্বোচ্চ ৫৬১ রানের ওপেনিং জুটির গর্বিত অংশীদার। ১৯৭৭ সালে ওয়াহিদ মির্জার সাথে মিলে এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
- চার্লি স্মিথ (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি টেস্ট খেলা সাবেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর ক্যারিয়ার খুবই স্বল্প সময়ের। ১০ টি প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তিনটিই ছিল টেস্ট।
- মোহাম্মদ রমজান (মোহাম্মদ রমজান)
পাকিস্তানের হয়ে মাত্র একটি টেস্ট খেলা সাবেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৭৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে তিনি ১০ হাজারের ওপর রান করেছেন।
- ওয়াল্টার টিচ কনফোর্ড (ইংল্যান্ড)
টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে খর্বাকৃতির উইকেটরক্ষকদের একজন, উচ্চতা মাত্র পাঁচ ফুট। ১৯৩০ সালে চারটি টেস্ট খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ৪৯৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললেও রান তুলেছেন ১৫-এরও কম ব্যাটিং গড় নিয়ে।
- ওয়াল্টার লিস (ইংল্যান্ড)
১৯০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ‘অভিষেকে’ ৫ উইকেট নেয়া ইংরেজ ডান-হাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার। মাত্র পাঁচ টেস্ট খেললেও সারের হয়ে ৩৬৪ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম শ্রেণিতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৪০০ টি।
- হেডলি হাওয়ার্থ (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার, ১৯৬৯ সালের বিখ্যাত নাগপুর টেস্ট জয়ের নায়ক, হাওয়ার্থের (৫/৩৪) স্পিন ভেল্কিতেই ভারতীয় উপমহাদেশের মাটিতে প্রথম বারের মত টেস্ট জিতেছিল কিউইরা।
- তাপস বৈশ্য (বাংলাদেশ)
টেস্ট অভিষেকে নয় নম্বরে নেমে ফিফটি হাঁকানো বাংলাদেশের সাবেক ডান-হাতি পেসার, ৯৫টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক। সিলেটের সাবেক এই পেসার এখন আমেরিকা প্রবাসী।
- সাইমন জোন্স (ইংল্যান্ড)
২০০৫ সালের অ্যাশেজ জয়ের অন্যতম নায়ক, ‘রিভার্স স্যুইং’-এ পারদর্শী ইংল্যান্ডের সাবেক ডান-হাতি পেসার। তবে, ইনজুরি প্রবণতায় ক্যারিয়ার বড় হয়নি তাঁর।
- ক্ল্যারি গ্রিমেট (অস্ট্রেলিয়া)
লেগ স্পিনারের ক্ল্যাসিক ভ্যারিয়েশন ‘ফ্লিপারের’ জনক। জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউজিল্যান্ডে হলেও টেস্ট খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। মাত্র ৩৭ টেস্ট খেলেই নিয়েছেন ২১৬ উইকেট।