চীনের দু:খ হোয়াংহো, বার্সার দু:খ সোমার

দুই ম্যাচ মিলিয়ে মোট ছয়টি গোল হজম করেছেন ইয়ান সোমার। তবুও গ্রীষ্মের খরতাপের প্রতাপ ছাপিয়ে তিনি হয়েছেন রাফিনহাদের অশ্রুজলের কারণ। 

ইয়ান সোমার- বার্সেলনার সামার টাইম স্যাডনেস। ওই তিনকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে নায়ক হওয়া বড্ড কঠিন। হয় আপনাকে ইয়ান সোমার হতে হবে, নতুবা আড়ালেই থেকে যেতে হবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল আর বার্সেলোনার মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইয়ান সোমার।

শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চ ডিঙিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইতালিয়ান ক্লাব- ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে গোল হয়েছে ১৩ খানা, তাও আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। দুই ম্যাচ মিলিয়ে মোট ছয়টি গোল হজম করেছেন ইয়ান সোমার। তবুও গ্রীষ্মের খরতাপের প্রতাপ ছাপিয়ে তিনি হয়েছেন রাফিনহাদের অশ্রুজলের কারণ।

অতন্দ্র প্রহরী? তারও নিশ্চয়ই ক্লান্তিতে চোখ লেগে আসে। কিন্তু সোমার রীতিমত মিশরের পিরামিড। হয়ত সেই পিরামিডের উপরে চড়া যায়। কিন্তু তাকে টলানো যায় না। দ্বিতীয় লেগে তিনখানা গোল হজম করেও ম্যাচসেরা পুরষ্কার গেছে তারই হাতে।

যাওয়াই উচিত। নিদেনপক্ষে চারখানা নিশ্চিত গোল ঠেকিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে লামিন ইয়ামালের বিখ্যাত কার্লার শটও ছিল। আঙুলের আলতো ছোঁয়ায় রবার্ট লেওয়ান্ডস্কির হেডকেও মামুলি বানিয়েছেন ইয়ান সোমার। রাফিনহার টানা দু’টো শটের প্রথমটাও ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে সাতখানা গোল থেকে দলকে রক্ষা করেছেন তিনি।

তাও আবার যখন ছিল তা ভীষণ দরকারি। পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা একেরপর এক আক্রমণ নিয়ে হাজির হয়েছে ইন্টারের দূর্গে। এটা তো সবাই জানে- এই বার্সেলোনাকে গোল করা থেকে বিরত রাখা প্রায় অসম্ভব। ইন্টারের ক্ষেত্রেও ঘটেছে তাই।

কিন্তু ইন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ গোলের পর বার্সেলোনার ভয়ংকর সব আক্রমণ নিষ্ক্রিয় হয়েছে ইয়ান সোমারের হাতে। তিনি না থাকলে হয়ত আজ মিলান জুড়ে মাতম হতো। নাচতে নাচতে, উল্লাসে ফেটে পড়ত বার্সেলোনা। কিন্তু সোমারের হাতে বেজে উঠল বিষন্ন ভায়োলিন। রাফিনহার চোখ জুড়ে তাই পরাজয়ের সলিল।

Share via
Copy link