স্টাম্পড হয়ে এভাবেও ম্যাচ হারা যায়!

কাদের ইন্ধনে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে হজম করতে হল, তার উত্তর সময় হলেই জানা যাবে। সেই সময় আদৌ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হবে কি?

ম্যাচ হারার জন্য যা যা করা দরকার তাঁর সব কিছুই করল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। এর চেয়ে বেশি নিচে নামা যায় না। অন্তত খালি চোখে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, ম্যাচটা ইচ্ছা করেই হেরে গেছে শাইনপুকুর।

বিশেষ করে শেষ ব্যাটার হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হলেন, সেটাকে শিল্পের পর্যায়ে রাখাই যায়। ম্যাচ সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হচ্ছে। সেই ম্যাচে কিভাবে এতটা সাহস একটা দল দেখায়? প্রতিপক্ষকে স্ট্যাম্পিং করার সুযোগ দিলেন, ক্রিজে ঢোকার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগালেন না।

গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪১ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে, শাইনপুকুর কখনওই জয়ের বাসনা দেখায়নি।  ১৪৪ রানে নবম উইকেট হারায় শাইনপুকুর। আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে তখনও ক্রিজে মিনহাজুল।

শেষ ব্যাটার হিসেবে নামেন শরিফুল ইসলাম। তিনি ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলেন। পাল্টা আক্রমণ ‍শুরু করেন। তিনি এক চার আর দুই ছক্কায় দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। সেই সময় হারতে হলে বিশেষ কিছু দরকার ছিল শাইনপুকুরের।

সেটাই করলেন মিনহাজুল। নাঈম ইসলামের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গেলেন। উইকেটরক্ষক আলিফ হোসেন ইমন বল ধরে স্ট্যাম্প ভাঙার আগে অনেকক্ষণ সময় পেলেন মিনহাজুল। কিন্তু, তিনি দাগের ভেতরে ব্যাটটা ঢোকার ঠিক আগেই হঠাৎ থামিয়ে দিলেন। যেন হাতে অখণ্ড অবসর। সেই অবসরে পাঁচ রানে ম্যাচ জিতে ১১ পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলল গুলশান।

১৭৩ রানে থামে শাইনপুকুর। পরাজিতের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। আগেই সুপার সিক্স থেকে ছিটকে যাওয়া শাইনপুকুর বেশ দক্ষতার সাথে গুলশানের সুপার সিক্সের পথটা নিশ্চিত করে দিল।

ঘরোয়া খেলাধুলার অঙ্গনে ম্যাচ পাতানো নতুন কিছু নয়। কিন্তু, টেলিভিশনে সম্প্রচারকৃত লাইভ ম্যাচ এভাবে ছেড়ে দেওয়া যেন নতুন এক নজীর স্থাপন। কাদের ইন্ধনে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে হজম করতে হল, তার উত্তর সময় হলেই জানা যাবে। সেই সময় আদৌ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হবে কি?

Share via
Copy link