যুবরাজ সিং, দ্য সিরিয়াল উইনার

২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে তবেই শিরোপা মঞ্চে উঠেছেন এই তারকা। বছর দুয়েক পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও নিজের ঝুলিতে পুরেন তিনি; ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা বলে আর কিছু রইলো না। এসবের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে আইপিএল, দুলীপ ট্রফি, ইরানি কাপ, বিসিসিআই কর্পোরেট ট্রফি সবই আছে তাঁর অর্জনের ক্যাবিনেটে। 

ক্যান্সার এসেছিল, হারাতে পারেনি যুবরাজ সিংকে। যার নামের মধ্যেই আছে রাজ করার ঘোষণা তাঁকে হারাবে এমন সাধ্য কার। ক্রিকেট মাঠেও তাঁকে হারানোর সাধ্য হয়নি বিধাতার; বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে অবসর পরবর্তী জীবন, যেখানেই খেলেছেন একের পর এক ট্রফি জিতেছেন; তিনি হয়ে উঠেছেন সিরিয়াল উইনার।

ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ভারতীয় অলরাউন্ডারকে। আর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্সকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে ইন্ডিয়া মার্স্টার্স। শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে তাঁর। পাঁচ ইনিংসে করেছেন ১৭৯ রান, আউট হয়েছেন মাত্র একবার। স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয়, ১৮৫!

তবে জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর এটিই একমাত্র অর্জন নয় এই বাঁ-হাতির। কিংবদন্তিদের নিয়ে আয়োজিত রোড সেফটি ট্রফিও জিতেছেন তিনি। আবার অধিনায়ক হিসেবে উদযাপন করেছেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপ অব লিজেন্ডসের শিরোপা।

এর আগে যুবরাজ তো ধারাবাহিকভাবে চ্যাম্পিয়ন ট্যাগ পেয়েছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৫ বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর উত্থান ঘটে, এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে নেন তিনি। জাতীয় দলে আসার পর শুরুতেই পান বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ, ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন সগৌরবে।

আর বিশ্বকাপ জিততে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচ বছর, ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উঠে এই তারকার হাতে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে তবেই শিরোপা মঞ্চে উঠেছেন তিনি, ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা বলে আর কিছু রইলো না। এসবের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে আইপিএল, দুলীপ ট্রফি, ইরানি কাপ, বিসিসিআই কর্পোরেট ট্রফি সবই আছে তাঁর অর্জনের ক্যাবিনেটে।

কোন কোন ক্রিকেটারের জন্মই হয় জেতার জন্য, তাঁদের অজেয় রূপে পাঠানো হয় পৃথিবীতে। যুবরাজ সিং সেরকমই একজন – তিনি জেতেন, জেতান। ২০১১ বিশ্বকাপে ব্রেট লিকে চার মেরে বুনো উল্লাসের যে ছবি তৈরি করেছেন তিনি, সেটাই তাঁর ক্যারিয়ারের হাইলাইটস হয়ে রইলো।

Share via
Copy link