বিশাল বিশাল সব ছক্কা হাকালেন। বল গিয়ে পড়ল দুবাইয়ের গ্যালারিতে। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডাক মেরেছিলেন। এবার নেপালের বিপক্ষে বুঝিয়ে দিলেন, জাওয়াদ আবরার প্রয়োজন পড়লে ঝড় তুলতেও জানেন।
অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের উদ্দেশ্যটা পরিস্কার করে দেন। প্রতিপক্ষকে ১৫০ নয়, ১০০ রানের মধ্যে অলআউট করে ফেলতে চান তিনি। বোলাররা অধিনায়কের মান রেখেছেন।
বোলারদের দাপটে মাত্র ১৪১ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দল। বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের ফলাফলেই নেপালের এই পতন। আর ব্যাটিংয়ে অধিনায়কের আগে সেই যাত্রাটা যিনি শুরু করেন তিনি হলেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার।
টপ অর্ডারে বাংলাদেশের জন্য দারুণ সূচনা এনে দেন জাওয়াদ। লো-স্কোরিং ম্যাচেও নব্বইয়ের ওপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট চালান তিনি। একাই হাঁকান চারটি ছক্কা। সাথে পাঁচটি চার। ৬৫ বলের ইনিংসে রান করেন ৫৯।
পুরো ইনিংসের মধ্যেই পাওয়ার হিটিংয়ের প্রদর্শনী ছিল, যেটা আধুনিক মারমার কাটকাট ক্রিকেটের সাথে দারুণ ভাবে মানিয়ে যায়। আর এই ভয়ডরহীনতাতেই অনন্য হয়ে ওঠেন জাওয়াদ। পেশাদার ক্রিকেটটা অবশ্য মাত্রই শুরু করলেন, যুব ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ঠিক এর আগের ম্যাচেই। এখান থেকে এখন কেবলই এগিয়ে যাওয়ার পালা। এই যাত্রা তবে শুভ হোক।