জিয়া-তামিম জোয়ারে চট্টগ্রামকে ভাসিয়ে জিতলো খুলনা

তিনি যেন বাইশ গজে ক্যারিবিয়ান প্রতাপের প্রতিচ্ছবি। ডিপ এক্সটা কাভার, ডিপ ব্যাকওর্য়াড স্কোয়ার লেগ, কাও কর্নার, ডিপ মিড উইকেট, থার্ড ম্যান অঞ্চলে বাউন্ডারিগুলো মেরেছেন তিনি। উইকেটের চারপাশেই সমান তালে ব্যাট হাতে চালাতে পারেন তামিম।

এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। লো স্কোরিং ম্যাচে চট্টগ্রামকে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেটে। যদিও মাঝে জেগেছিল শঙ্কা। দ্রুত উইকেট পতনে খুলনার পরাজয় দিচ্ছিল উঁকি। কিন্তু অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জয়ের বন্দরে দলের তরী ভিড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

বুধবার টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো চট্টগ্রাম গড়তে পারেনি বড় সংগ্রহ। খুলনার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১২৯ রানেই শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস। ব্যাট হাতে চট্টগ্রামের পক্ষে একাই লড়েছেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী চৌধুরি।

৪৫ রানে চার উইকেটে হারানো চট্টগ্রামের হাল ধরেন তিনি। শুরুতে ধীর গতির ইনিংস খেললেও ফিনিশিংটা বেশ ভালোই দিয়েছেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে করেছেন ৩৯ বলে ৬১ রান। হাঁকিয়েছেন তিনটি ছক্কা আর ছয়টা বাউন্ডারি।

তবে ১৩০ রানের টার্গেটটাই যেন পাহাড়সম হয়ে উঠেছিল খুলনার জন্য। শুরুতেই এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় তারা। তবে বিস্ময় ছড়িয়েই চলেছেন আজিজুল হক তামিম। এদিন ও খেলেছেন ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। সমান তিনটি করে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। তামিমের ব্যাটিংটা যেন চোখের প্রশান্তিও বটে।

তিনি যেন বাইশ গজে ক্যারিবিয়ান প্রতাপের প্রতিচ্ছবি। ডিপ এক্সটা কাভার, ডিপ ব্যাকওর্য়াড স্কোয়ার লেগ, কাও কর্নার, ডিপ মিড উইকেট, থার্ড ম্যান অঞ্চলে বাউন্ডারিগুলো মেরেছেন তিনি। উইকেটের চারপাশেই সমান তালে ব্যাট হাতে চালাতে পারেন তামিম।

মমিনুলের একটা অসাধারণ বলে আউট হয়ে তামিম ফিরে গেলে চাপে পড়ে খুলনা। ৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরে হাল ধরেন জিয়াউর রহমান আর নুরুল হাসান সোহান। অভিজ্ঞ জিয়াউর রহমান ৩৬ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।

সমান তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে চট্টগ্রাম, চার নম্বরে খুলনা। কোয়ালিফায়ারের লড়াইটা তাই বেশ জমে উঠেছে।

Share via
Copy link