পেসারদেরও চ্যালেঞ্জ দেখছেন মাশরাফি

সবাই এক তরফা কথা বলে যে উইকেট সিমিং কন্ডিশন। কিন্তু আসলে এইগুলা তো আরও ২০ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন তো ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হয়। বাংলাদেশে ২৫০ রান করা কঠিন হয়, ওইখানে ৩০০-৩৫০ করে আবার চেজও হয়ে যায়। সো ওইখানে পেসারদের জন্য আরও কঠিন।

দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরমেন্স যে রকম আশা জাগানিয়া; বিদেশের মাটিতে ঠিক তার উল্টো। সেটা আরো স্পষ্ঠ হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান দেখলে। এখনো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আশাবাদী এবার ভালো করবেন তামিম-মুশফিকরা।

উপমহাদেশের উইকেট থেকে নিউজিল্যান্ডের উইকেট গুলোতে একটু বেশী বাউন্স থাকে এবং মাঠে দেখা যায় প্রচন্ড বাতাস। কিউই কন্ডিশনে স্পিনারদের থেকে পেসাররা সাধারণতো বেশী সুবিধা পেয়ে থাকে। পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখে তাই সাত পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে গেছে বাংলাদেশ।

তবে মাশরাফি জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে উইকেটে এখন পেসারদের কাজটা আরো কঠিন। বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন ২০ বছর আগেই পেস বান্ধব উইকেট বানানো বাদ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা রিয়েলাইজ করতে হবে যে আগে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া গেলে সবাই এক তরফা কথা বলে যে উইকেট সিমিং কন্ডিশন। কিন্তু আসলে এইগুলা তো আরও ২০ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন তো ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হয়। বাংলাদেশে ২৫০ রান করা কঠিন হয়, ওইখানে ৩০০-৩৫০ করে আবার চেজও হয়ে যায়। সো ওইখানে পেসারদের জন্য আরও কঠিন।’

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে ৯ টেস্ট, ১৩ ওয়ানডে ও ৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে সব গুলো ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে মাশরাফি বিশ্বাস করেন ক্রিকেটারদের উপর চাপ প্রয়োগ না করে তাদের মন খুলে খেলতে দিরে এবার ভালো করবে বাংলাদেশ।

এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘এইখান থেকে ওরা যদি আরও ভালো করে, যে অ্যাবিলিটি ওদের আছে, যদি ভালো করে, আশা করছি যে ভালো করবে, বাট আমি আগেও বললাম যে ইন্ডিভিজুয়াল প্রতিটি খেলোয়াড়ের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিতে হবে। তাহলে ওরা মন খুলে যদি খেলাটা খেলতে পারে, কোনো চাপ না থাকে, তাহলে অবশ্যই ভালো খেলবে।’

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে সাত দিন হোটেল বন্দি থাকার পর দুই দফায় সবাই করোনা নেগেটিভ হলে আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষে কুইন্সটাউনে সাত দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প করবে সফরকারীরা।

২০ মার্চ ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ,ওয়েলিংটনে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।  ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...