এক ওভারে ১১ বল! হার্দিক পাঁকালেন গণ্ডগোল

তার এমন বিরল বোলিং প্রদর্শন নিশ্চয়ই নানামুখী প্রশ্নের উদ্রেক ঘটাচ্ছে। এতগুলো বল করেও স্রেফ ১৮ রানেই থামতে পেরেছেন- এইটুকুই যেন তার স্বস্তি। 

এক ওভারে কতবার বল ছোড়া যায়? নিয়মমাফিক ছয়বার বল ছুড়তে হয় একজন বোলারকে। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া প্রায় দ্বিগুণ বল ছুড়লেন। এক ওভারে ১১ বল করলেন, পাঁকালেন গণ্ডগোল।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া যেন রয়েছেন ভীষণ চাপে। একটুখানি পা হড়কে গেলেই শীর্ষ চারের নিচে নেমে যাবে দলটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটান্স। তাদের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান জমা করতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

শুভমান গিল, জশ বাটলার, সাই সুদর্শনদের স্রেফ ১৫৬ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয়েছেন রোহতি শর্মারা। যেখানে ব্যাট হাতে অধিনায়ক হার্দিক করেছেন তিন বলে এক রান। স্বাভাবিকভাবেই দলের জন্যে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেননি, তাই চেয়েছিলেন বল হাতে পুষিয়ে দিতে। একজন অলরাউন্ডারের তো এটাই সবচেয়ে বড় লাক্সারি।

কিন্তু এদফা পুষিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে হার্দিক যেন দলকে ঠেলে দিলেন ঝঞ্জাটের মধ্যে। এক ওভারে ১১ বার বল করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া! অবিশ্বাস্য! এর মধ্যে নো বল করেছেন দু’বার। একজন মিডিয়াম পেসার ও হার্দিকের মত ধূর্ত ক্রিকেটারের কাছ থেকে অন্তত নো বল কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

তবে হার্দিকের ধূর্ততা এবার মাত খেয়ে গেছে স্নায়ুচাপের সামনে। সেই নো বল করায় ফ্রি-হিট পায় গুজরাট টাইটান্স। ফ্রি-হিটে টাইটান্স ব্যাটারদের বড় শট থেকে বাঁচতে গিয়ে ওয়াইড বলও করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি।

শুভমান গিল ঠিকই একটি ফ্রি-হিট থেকে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এছাড়া সেই ওভারের শুরুর দিকেই জশ বাটলার একটি চার মেরেছিলেন হার্দিকের বলে। দুইটি নো বল, একটি চার ও একটি ছয়, এছাড়া তিনটি ওয়াইড ও তিনটি এক রান- মোট মিলিয়ে ১৮ রান দিয়েছেন তিনি এক ওভারে।

ওভারের শেষ বলে অবশ্য তিনি একটি ডট আদায় করে নিয়েছেন। তবে তার এমন বিরল বোলিং প্রদর্শন নিশ্চয়ই নানামুখী প্রশ্নের উদ্রেক ঘটাচ্ছে। তবে এ যাত্রায় হয়ত হার্দিক নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এই বলে যে বড্ড বাঁচা বাঁচলেন তিনি। এতগুলো বল করেও স্রেফ ১৮ রানেই থামতে পেরেছেন- এইটুকুই যেন তার স্বস্তি।

Share via
Copy link