আবারো স্বপ্নভঙ্গ

কাতারের মাটিতে হল না ভারতবধ। আবারো স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় ক্লান্ত বাংলাদেশি সমর্থকরা। আঠারো বছর আগের সেই সন্ধ্যাটা আজকে দোহায় ফিরিয়ে আনতে পারলেন নাহ জামাল ভূঁইয়ারা। সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ২-০ গোলে।

আগের ম্যাচের মতোই ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজান কোচ জেমি ডে। কেবল ইনজুরিতে থাকা সোহেলের স্থলে মাঠে নামেন মানিক মোল্লা। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাউন্টার অ্যাটাক থামানোর জন্য ৩-৫-২ ফর্মেশনে নামে ভারত যা কিনা বাংলাদেশের পায়ে বল গেলেই হয়ে যাচ্ছিল ৫-৩-২।

ম্যাচের আগেই ট্যাকটিক্সের খেলায় ইগর স্টিমাকের কাছে হেরে বসেন বাংলাদেশি কোচ জেমি ডে। ম্যাচের খেলায় হয়তো সে ভুল শোধরাতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা পারেননি খেলোয়াড়েরা।

ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় রক্ষণ সামলে রাখা গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ০-০ সমতায়। পুরোটা সময়ই দাঁতে দাঁত চেপে রক্ষণ সামলে যায় বাংলাদেশ। ১৫ মিনিটেই প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল ভারত।

মাঝমাঠ থেকে ব্রেন্ডনের চমৎকারভাবে বাড়ানো বল পেয়ে যান ফাঁকায় থাকা মানভির। কিন্তু গোলরক্ষক জিকো বেরিয়ে আসায় সে যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ৩০ মিনিটেই ম্যাচের প্রথম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ। মাসুক মিয়া জনির জায়গায় মাঠে নামেন ইব্রাহিম।

তাতেও বাঁধ দেয়া যায়নি ভারতের আক্রমণে। ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে সানার জোরালো হেড গোলবার থেকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে রাখেন রিয়াদুল রাফি। এভাবেই সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই করে বাংলাদেশ যখন স্বপ্ন দেখছে ম্যাচে ফেরার, তখনি ভুল করে বসেন আগের ম্যাচের নায়ক তপু বর্মণ।

৭৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে আশিকের বাড়ানো বলে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন ভারতীয় দলপতি সুনীল ছেত্রী। গোল খেয়ে বাংলাদেশ অলআউট আক্রমণে উঠে গেলে ফাঁকা ডিফেন্সের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে সুরেশের কাটব্যাকে গোল করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন ছেত্রী। এই হারের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের গ্রুপে বাংলাদেশ রইলো শেষেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link