ফিলিপসের কাছে শাহিন যেন কেবলই এক নেট বোলার

পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারি ছাড়া করতে যেন সকল আনন্দ গ্লেন ফিলিপসের।

পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। সে ছিল ছয় নম্বরে। তবুও তো হল দেখা, এরপরেতে সেই একই গল্পগাঁথা। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারি ছাড়া করতে যেন সকল আনন্দ গ্লেন ফিলিপসের। পাকিস্তানি পেসারকে পেলেই ক্ষেপে যান ফিলিপস। বোলিং প্রান্তে শাহিন এলেই হয় বাউন্ডারির বর্ষণ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শাহিনের বিপক্ষে পাঁচ বল খেলে ১৮ রান নিয়েছেন ফিলিপস। দুইটি ছক্কার পরে আরও একটি চার হাঁকিয়েছেন কিউই ব্যাটার। এই ধারা চলে আসছে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই। সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শাহিনকে মেরে তুলোধুনো করেছেন গ্লেন ফিলিপস।

তার বিপক্ষে ১২ বলে ৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেদিন অবশ্য সেঞ্চুরি করেছিল ফিলিপস। এদিন ততটাও ভাগ্য তার হয়নি সুপ্রসন্ন। বেশ দেরীতেই এসেছিলেন ব্যাটিং প্রান্তে। তবুও হাফ সেঞ্চুরি তুলে মাঠ ছেড়েছেন। দলের সংগ্রহকে নিয়ে গেছেন ৩০০ রানের ওপারে।

৩৯ বলে ৬১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন হারিস রউফের বলে। কিন্তু শাহিনের বিপক্ষে ভিন্ন এক ফিলিপসের দেখা মিলছে বারেবারে। পাকিস্তান দলের মূল বোলার শাহিন। নিজ সক্ষমতয়া সেই জায়গাটা অর্জন করেছেন বা-হাতি পেসার।

কিন্তু তাকে একেবারে সাদামাটা বোলারে পরিণত করেন গ্লেন ফিলিপস। যেন মনে হয়, এখন পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু না করা কোন এক নেট বোলার। ফিলিপসের বিপক্ষে বল ছোড়া মানেই যেন শাহিনের কপালে লেখা হয় দুর্ভোগ। এদিন ইনিংসের ৪৭ তম ওভারে ফিলিপসের কাছে দু’টো ছক্কা হজম করেন শাহিন।

প্রথমটি ডিপ মিডউইকেট দিয়ে বাউন্ডারির ওপারে গিয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় ছক্কা যাত্রাপথ ছিল ডিপ স্কোয়ার লেগ। এরপর ৪৯ তম ওভারে শাহিন বলে গতি দিলেন না। তাতে কি? ফিল্ড পজিশন বুঝে লং অফ দিয়ে দারুণ এক বাউন্ডারি আদায় করে নেন গ্লেন ফিলিপস।

ফিলিপসের বিপক্ষে শাহিনের বেহাল দশা এক নিয়মিত দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। শাহিন অসহায়ের মত বল ছুড়ে স্রেফ প্রতিপক্ষকে রান করার সুযোগই দিয়ে গেলেন। এমন নির্বিষ শাহিনে ভর করে শিরোপা ধরে রাখা যে আর হবে না পাকিস্তানের, এই কষ্ট লুকাবে কি করে?

Share via
Copy link