ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেসের দিক থেকে আলাদা একটা মাপকাঠিই তৈরি করেছেন তিনি। তাই তো বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেলেও তারুণ্যের উদ্দামে এখনও বাইশ গজ শাসন করে চলেছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপেও তার একটা প্রতিচ্ছবি আঁকছেন। আবহাওয়াগত কারণে কিংবা অন্য কারণেই হোক, অন্যান্য ব্যাটাররা যেখানে বড় ইনিংস খেলতে গিয়ে ক্র্যাম্পিংয়ে পড়ছেন, সেখানে কোহলি সিঙ্গেল, ডাবলস নিয়ে বড় ইনিংস খেলে রীতিমত ছুটছেন।
কোহলির এমন পারফর্ম্যান্সের মূলে অবশ্যই রয়েছে তাঁর ফিটনেস। আর সেই পথে বিরাট কোহলির খাদ্যাভাস কেমন, তা নিয়ে জনমনে কম কৌতূহল নেই। বিরাট কোহলির এই ডায়েট খেলার মাঠে তাঁকে উদ্দীপ্ত রাখতে সাহায্য করে। তবে, একবার কোহলি নিজেই স্বীকার করেছিলেন, তিনি খেতে অত্যন্ত ভালোবাসেন। তবে যাই খান না কেন, অত্যন্ত সচেতন থাকেন তিনি। সঠিক খাবার বেছে নেওয়ার ব্যাপারে কোহলি যথেষ্ট খুঁতখুঁতে। আর এ কারণেই শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেন না তিনি।
বিরাট কোহলির সারাদিনের কায়িক শ্রমের উপর নির্ভর করেই তাঁর খাদ্যাভাস তৈরি করা হয়। আর এ জন্য আলাদা একজন খাদ্য ও পুষ্টিবিদও নিয়োজিত থাকেন। কোহলির এই খাদ্য তালিকায় মূলত লো-কার্ব এবং হাই প্রোটিন থাকে বেশি। যাতে শরীরের মধ্যে চর্বির ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। তবে যেদিন কোহলির ম্যাচ থাকে সে দিন আবার ভিন্ন খাবার খান তিনি।
এমনিতে কোহলির খাদ্য তালিকায় প্রোটিন শেক আর সবজির পরিমাণ থাকে বেশি। তবে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও কোহলি ভিন্ন এক পন্থা অবলম্বন করেন। কখনোই বেশি খাবার গ্রহণ করেন না। সারাদিন অল্প অল্প করে সব মিলিয়ে চাহিদা অনুসারে খাবার খান। ফলের মধ্যে তরমুজ, পেঁপে এবং ড্রাগন ফ্রুট বিরাটের সবচেয়ে বেশি পছন্দ।
আর পানি পানের ক্ষেত্রে তিনি সাধারণ কোনো পানি ব্যবহার করেন না। ফ্রান্স থেকে আসা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মুক্ত পানি পান করেন। আর ২০১৬ সালের পর থেকেই বিরাট এক প্রকার নিরামাষী হয়ে গিয়েছেন। ডিম, দুধ কিংবা মাংস তিনি খান না। মূলত বিরাটের খাদ্যতালিকায় ৯০ শতাংশ খাবার থাকে সেদ্ধ।
এ নিয়ে একবার তিনি বলেছিলেন, ‘আমি খাবারের টেস্ট নিয়ে তেমন পরোয়া করি না। আমি তরকারি খাই না। কিন্তু ডাল খাই। তাতে শুধু অলিভ ওয়েল থাকে। শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও প্রয়োজন। আমি এভাবেই সেটার অভার পূরণ করি।’