আগ্রাসী রোহিতে শুরুটা আক্রমণাত্বকই শুরু করেছিল ভারত। তবে রোহিতের বিদায়ের পর টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস যতদূর গড়িয়েছে, রানের গতিও ঠিক ততটাই কমেছে। প্রথম ১০ ওভারে ৮০ রান তোলা ভারত পরের ২০ ওভারে তুলতে পেরেছে মাত্র ৭২ রান। মন্থর গতিতে চলতে থাকা দলগত ইনিংসও তাই ২৪০-এই আটকে গেছে।
গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কোনো পরীক্ষার মধ্যেই পড়তে হয়নি ভারতকে। কিন্তু ফাইনালে এসেই হোঁচট খেতে হয়েছে রোহিত-বিরাটদের। দুর্দান্ত শুরুর পরও মাঝ ওভারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে বড় রান যোগ করতে পারেনি রোহিত শর্মার দল। মূলত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আর অতি রক্ষণাত্বক ব্যাটিংই কাল হয়ে এসেছে ভারতের ইনিংসে।
অজিদের বিপক্ষে এ দিন ৯৭ বল বাউন্ডারিহীন ছিল ভারত। প্রথম পাওয়ার প্লে-র শেষ বলে চার মেরেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। এরপর একটা বাউন্ডারি বের করতে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৯৭ টা বল। ১০ ওভারের পর থেকে ভারত বাউন্ডারি ছাড়াই কাটিয়ে দেয় ১৬ টা ওভার। ২৬.২ ওভারে অবশেষে বাউন্ডারি খরা কাটে।
যে ম্যাক্সওয়েলের বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর বাউন্ডারি শূন্যতায় ভুগছিল ভারত, ২৬.২ ওভারে সেই ম্যাক্সওয়েলের বলই স্কুপ করে মেরে ভারতকে ৯৭ বল বল পর বাউন্ডারি এনে দেন লোকেশ রাহুল। এবারের বিশ্বকাপে বাউন্ডারিহীন থাকার দিক দিয়ে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৮ বল বাউন্ডারিহীন ছিল নেদারল্যান্ডস। ভারতের আগে ৯৫ বল বাউন্ডারিশূন্য থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডটাও ছিল ডাচদের দখলে।
আহমেদাবাদের ফাইনালে এ দিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরুই করেছিল ভারত। শুভমান গিল দলীয় ৩০ রানে ফিরে গেলেও রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছিলেন রোহিত। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসটা বেশিদূর টানতে পারেননি এ ব্যাটার। ৩১ বলে ৪৭ রান করে ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত ক্যাচে থামতে হয় তাঁকে।
আর এরপরই লাগাম টেনে ধরে অজি বোলাররা। রোহিতের পর শ্রেয়াস আইয়ারও ফিরে যান দ্রুতই। আর এরপরেই বাউন্ডারি বের করতে রীতিমত ঘাম ছুটে গিয়েছে বিরাট-লোকেশের। রোহিত-আইয়ার ফিরে যাওয়ার পর ১৬ ওভারের বেশি বাউন্ডারিহীন ছিল টিম ইন্ডিয়া। কোহলি আর রাহুল ইনিংস টেনে গিয়েছেন ঠিকই। তবে তাতে দলের রানের গতি আর বাড়েনি। মন্থর হয়ে ছিল ভারতের ইনিংস।