১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল এক তরুণের। এরপর কেটেছে আরো তিন বছর, অতঃপর ২০০২ সালে সেই তরুণের ভাতিজার জন্ম হয়। অথচ এখন দুজনেই একই দলের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছেন – দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মাঠে। আলোচিত এই ক্রিকেটার জুটি হলো শোয়েব মালিক আর মোহাম্মদ হুরায়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন মালিক। গত প্রায় দুই দশক ধরে খেলছেন দাপটের সাথেই। আপাতত অবশ্য জাতীয় দলে নেই, বয়সটাও চল্লিশের কোটা পেরিয়ে গিয়েছে। তবে লড়াই করা ছাড়তে পারেননি, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেরার লক্ষ্যে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে নিজের সেরাটা নিংড়ে দিচ্ছেন তিনি।
আর এই টুর্নামেন্টেই ঘটেছে বিস্ময়কর ঘটনা, এই পাক ব্যাটারের ভাতিজা হুরায়রা খেলেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে। স্বাভাবিকভাবে তিনিও খেলছেন চলমান টি-টোয়েন্টি কাপে; আবার দুই ক্রিকেটারের দলও একই, দুজনে আছেন শিয়ালকোট অঞ্চলের জার্সিতে।
একইসাথে ব্যাটিং করেছেন তাঁরা; সেখানেও দেখা গিয়েছে আরেক মজার ব্যাপার। ভাতিজা হুরায়রাকে জোরে দৌড়াতে বলেছিলেন শোয়েব, আর তাতে অবাক স্বয়ং হুরায়রা। এই তরুণ বলেন, ‘তিনি আমাকে দৌড়ের গতি বাড়াতে বলেছিলেন। আমি বুঝতে পারছি না আমাদের দুজনের মধ্যে কে জোরে দৌড়াতে পারে।’
৩৫ বছরের পরেই যেখানে ক্রিকেটাররা অবসরের পথ বেছে নেন; শোয়েব মালিক সেখানে পারফর্ম করে যাচ্ছেন, হাঁটুর বয়সী তরুণদের সাথে সমান তালে অবদান রাখছেন। ‘চিরসবুজ’ তারকা বলাই যায় তাঁকে।
চলতি জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে তাঁর লক্ষ্য পাকিস্তান দলে ফেরা, অন্যদিকে হুরায়রার উদ্দেশ্য নির্বাচকদের নজর কাড়া। রান করতে পারলে দুজনেই সফল হবেন, সেই চেষ্টাই নিশ্চয়ই করছেন চাচা-ভাতিজা।