বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব পিচে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম এজাজ প্যাটেল। সেই ভরসার প্রতিদান মাঠেও দিয়েছেন তিনি, ভারতের মাটিতে এক ইনিংসে একাই দশ উইকেট নেয়া এই স্পিনার মিরপুরেও দেখিয়েছেন নিজের ভেলকি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়া দলকে পরের ম্যাচে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের মাত্র ১৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। পিচের পূর্ণ ফায়দা আদায় করে নিয়েছেন তিনি, সেই সাথে টার্ন আর অসম বাউন্সে বারবার পরাস্ত করেছেন স্বাগতিক ব্যাটারদের। তাঁর এমন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে কোন জবাব আসলে জানা ছিল না তাঁদের।
উইকেটের শুরুটা প্রথম ওভারেই, তৃতীয় বলে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে বাধ্য করেন স্লিপে ক্যাচ দিতে। মাত্র দুই রান করে আউট হতে হয় এই তরুণকে। গতকাল আলোক স্বল্পতায় খেলা না হওয়ায় আর উদযাপনের উপলক্ষ সৃষ্টি করতে পারেননি প্যাটেল, কিন্তু আজ খেলা গড়াতেই বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হন তিনি।
মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ একে একে ধরা পড়েন তাঁর জালে। নুরুল হাসান সোহান তো বুঝতেই পারেননি এই কিউই তারকার বোলিং, আর এরপর হাফসেঞ্চুরিয়ান জাকির হাসানকে বিদায় করে ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি – বাংলাদেশের শেষ উইকেটও নিজের দখলে নিয়েছেন, সবমিলিয়ে তাঁর বোলিং ফিগার দাঁড়িয়েছে ১৮-১-৫৭-৬!
পুরো ইনিংসে নাজমুল শান্তর দল ব্যাটিং করেছে ৩৫ ওভার, এর মধ্যে এজাজ করেছেন ১৮ ওভার – অর্থাৎ ইনিংসের প্রথম ওভারে বল হাতে তুলে নেয়া এই স্পিনার এতটাই ভাল করেছেন যে তাঁকে সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতেই পারেননি ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক টিম সাউদি।
এমন র্যাংক টার্নারে নিউজিল্যান্ড ১৩৭ রানের টার্গেট টপকাতে পারবে কি না সেটা তো সময়ই বলে দিবে। তবে সারা বছর পেস সহায়ক পরিবেশে থেকেও এজাজ প্যাটেলরা নিজের বোলিংয়ে মরিচা পড়তে দেন না, সে কারণে প্রশংসা পেতেই পারেন তিনি।