আলোচনার বাইরে থাকা সৌম্য সরকারকে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে রেখে ক্রিকেটভক্তদের বিদ্রুপের মুখে পড়েছিলেন নির্বাচকরা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সৌম্যর পুরনো পরিসংখ্যানের যুক্তি তুলে ধরলেও সমালোচনা থামানো যায়নি। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস খেলে সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই।
এমন পারফরম্যান্সের পর দারুণ এক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এই ব্যাটার। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬২ ইনিংস খেলে ১৯৪১ রান করেছেন তিনি, আর দুই ইনিংসে ৫৯ রান করতে পারলেই বাংলাদেশীদের মাঝে দ্রুততম দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন, আর তিন ইনিংস প্রয়োজন হলে যৌথভাবে এই কীর্তির মালিক হবেন সৌম্য।
বর্তমানে এই রেকর্ডের মালিক একসময়ের ব্যাটিং ভরসা শাহরিয়ার নাফিস। পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে নিজের ৬৫ তম ইনিংসে দুই হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন তিনি, লম্বা সময় কেটে গেলেও তাঁকে শীর্ষস্থান থেকে হটাতে পারেনি কেউই।
গত এক দশকে নাফিসের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন কেবল দুইজন ব্যাটার। একজন লিটন দাস এবং অন্যজন ইমরুল কায়েস। ক্যারিয়ারের প্রথম ৫৯ ইনিংসে ১৮৮৩ রান করেছিলেন লিটন; কিন্তু পরের ১১৭ রান করতে সাত ইনিংস লেগে যায় এই উইকেট কিপারের। আর ইমরুল কায়েস ৬০ ইনিংসে ১৬৯৭ রান করেছিলেন, তবে দুই হাজারী ক্লাবে পৌছাতে ৭১ ইনিংস প্রয়োজন হয়েছিল তাঁর।
অবশ্য ক্যারিয়ারের মাঝপথে খেই না হারালে সৌম্য সরকার হয়তো অনেক আগেই নিজের পূর্বসূরিকে হারিয়ে দিতে পারতেন। অন্তত ২৫ ইনিংসে ৯২৫ রান করার পর সহজেই দ্রুততম এক হাজার রানের মালিক হওয়ার কথা ছিল তাঁর, আবার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে ৫৫ বা ৬০ ইনিংসের মাঝেই পেরিয়ে যেতেন ২০০০ রান।
পুরনো কথা থাকুক, এখনো রেকর্ড গড়ার সুযোগ আছে এই ওপেনারের সামনে। দেখার বিষয়, তিনি সেটা পারবেন নাকি ব্যর্থ হবেন লিটন, ইমরুলদের মত – জানতে হলে চোখ রাখতে হবে আগামী শ্রীলঙ্কা সিরিজে। কেননা বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের পরবর্তী মিশন ঘরের মাঠে লঙ্কা বধ।