মাশরাফি থাকছেন, সেটা যেভাবই হোক

সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিক পক্ষ যখন বলেছিল মাশরাফি মর্তুজা বোলিং, ব্যাটিং না করলেও তাঁকে দলে রাখবো তখন ক্রিকেট পাড়ায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সিলেটের ফ্রাঞ্চাইজি যে ভুল মানুষের উপর ভরসা করেনি সেটা খেলা মাঠে গড়াতেই বোঝা গেলো। ইনজুরির সাথে লড়তে থাকা মাশরাফি নিজেই প্রমাণ করলেন কেন তিনি ‘বিশেষ’, কেন তিনি আলাদা।

দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে মাঠের মানুষটা মাঠে ফিরেছেন। মাঝে কত কি ঘটে গিয়েছে, ম্যাশ রাজনীতিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন – সম্প্রতি নির্বাচন করেছেন পুরোদমে, বিশাল ব্যবধানে জিতে সংসদ সদস্যও হয়েছেন। এতকিছুর পরও তিনি ভোলেননি সাদা গোলকটার সাথে তাঁর পুরনো প্রেমকে।

 

তাই তো দীর্ঘ অপেক্ষা আর সাগর পরিমাণ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে বাইশ গজে আসতেই উইকেট শিকারী মাশরাফির দেখা পাওয়া গেলো। শুধু কি উইকেট! না, তাঁর বোলিংয়ে ছিল নিয়ন্ত্রণ; রান খরচে তিনি ছিলেন কিপ্টেমি।

ইনিংসের অষ্টম ওভারের কথা, বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। প্রথম বলেই স্ট্রাইকে থাকা ইমরানুজ্জামান শর্ট বল করেন তিনি, কিন্তু বল ঠিকঠাক বাউন্স করেনি। ফলে টপ এজ হয়ে বাউন্ডারি লাইনে ইয়াসির আলীর তালুবন্দি হন এই ব্যাটার। ওভারের বাকি পাঁচ বল থেকে কেবল দুই রান এসেছে।

এরপর আবার দশম ওভারে বল করেন এই ডানহাতি। এবার একটা চার হজম করেন ঠিকই, কিন্তু এই ওভারেও সাত রানের বেশি নিতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে দুই ওভারের স্পেলে নয় রানের বিনিময়ে এক উইকেট পেয়েছেন তিনি।

মাশরাফি মর্তুজারা বুড়ো হলেও যে ফুরিয়ে যান না সেটাই আজ বোঝালেন এই কিংবদন্তি। রাজনীতি, ইনজুরি আর ফিটনেসের বাধা অতিক্রম করেই মনে রাখার প্রত্যাবর্তন হলো তাঁর। এখন দেখার বিষয়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে মাশরাফি নামক প্রদীপ আলো ছড়াতে পারে কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link