সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচে তারুণ্যের লড়াই হলো – একদিকে জাকির হাসান খেললেন মনে রাখার মত একটা ইনিংস। কিন্তু সেটাকে ছাপিয়ে গিয়েছে শাহাদাত হোসেন দিপুর দুর্দান্ত ফিফটি; নাজিবুল্লাহ জাদরানের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে দলকে সাত উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন দিপু।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামেন সিলেটের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর মোহাম্মদ মিথুন। মিথুন শুরু থেকেই আগ্রাসী থাকলেও শাম্ত খেলেন একেবারে ধীরে সুস্থে। তবে সময় গড়াতে দুজনেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। পাওয়ার প্লে-তে তাঁরা তোলেন ৪৭ রান, কিন্তু বড় রানের দিকে এগুতে থাকা শান্তকে নবম ওভারে ফিরিয়ে ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন নিহাদুজ্জামান।
সঙ্গী হারানোর পর মিথুনও টিকতে পারেননি; ২৮ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। সেখান থেকে দলকে টেনে নেন দুই তরুণ হ্যারি টেক্টর আর জাকির হাসান – বিশেষ করে জাকির খেলেছেন টি-টোয়েন্টি মানসিকতা নিয়ে। তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে গিয়েছে সিলেট।
মাত্র ৩১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন জাকির, শেষপর্যন্ত ৪৩ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই ইনিংসে ভর করেই ১৭৭ রানের পুঁজি পায় মাশরাফিরা।
জবাবে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের শিবিরে প্রথমেই আঘাত হানেন রিচার্ড এনগারাভা। তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করেন তিনি, কিন্তু আভিস্কা ফার্নান্দো তুলোধুনো করেন বোলারদের। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে এই লঙ্কান ওপেনার মাত্র ২৩ বলে করেন ৩৯ রান। তাঁর বিদায়ের পরেই আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার ইমরান থামেন ম্যাশের বলে।
৫৯ রানে তিন উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে টেনে তোলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। তাঁদের সময়োপযোগী জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বন্দরনগরীর দলটি; নিয়মিত বাউন্ডারি এসেছিল, ফলে আস্কিং রান রেট সবসময়ই হাতের নাগালে ছিল।
জয়ের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে পঞ্চাশ রান প্রয়োজন ছিল। সেই সমীকরণ মেলাতে সমস্যা হয়নি সেট ব্যাটার জুটির। টর্নেডো ব্যাটিংয়ে তীরে পৌঁছে যান তাঁরা। দুজনেই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি, সেই সাথে এক ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। যদিও শান্তরা বারবার ক্যাচ মিস না করলে ফলাফল আলাদা হতে পারতো।