৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস। তাতেই বিপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৩০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে গড়পড়তা এ ইনিংস খেলার পথেও যেন মিশ্র অনুভূতি জাগিয়ে দিয়ে গেলেন এ ওপেনার।
খুলনা টাইগারর্সের বিপক্ষে পাওয়ার প্লে-তে ৪৪ রান তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। তাতে ১৪ বলে ২০ রানে ব্যাট করছিলেন তামিম। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই খোলসবন্দী হতে শুরু করেন তিনি।
প্রথম ১৪ বলে ২০ রান করা তামিম পরের ২০ রান করেন ১৯ বলে। ৪০ রানের ইনিংস নিয়ে আরেকটু বিশ্লেষণ করলে যেটা দাঁড়ায় তা হলো, এ ইনিংসের ৫ বাউন্ডারির ৪ টাই তিনি মেরেছিলেন পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের মাঝে। যেখানে প্রথম ১৪ বলের ৪ টিতেই তিনি বাউন্ডারিতে পরিণত করেছিলেন।
কিন্তু পাওয়ার প্লের যখনই ফিল্ডাররা সার্কেলের বাইরে ছড়িয়ে গেছে, তখনই ব্যাট হাতে এক ধরনের আড়ষ্ঠতায় আচ্ছন্ন হন তামিম। যা প্রমাণ পরের ১৯ বলে মাত্র একটি বাউন্ডারি। আর বাউন্ডারি বের করার চাপেই নাসুমের বল স্লগে সুইপ করে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি তিনি। হাবিবুর রহমানের তালুবন্দী হয় তাঁর সেই শট।
অবশ্য এ দিন শুরুতে নিজের উপর চাপ বাড়িয়েছিলেন তিনি নিজেই। প্রথম ৬ বলে মাত্র ২ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। যদিও এরপরই দ্রুত কিছু বাউন্ডারি তুলে নিজের স্ট্রাইক রেট ঠিকই বাড়িয়েছিলেন। তবে ৪০ রানের সাবলীল চিত্রের স্থায়ীত্বকাল ছিল ততটুকুই।
এ দিন অবশ্য সৌম্য সরকারে রান আউটেও কিছুটা দায় ছিল তামিমের। ইনিংসের ৮ম ওভারের দ্বিতীয় বলে সৌম্যর সিঙ্গেলে কলটা প্রথমে দিয়েছিলেন তামিমই৷ তবে পরে পিছু হটে আসেন তিন। আর ওদিকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা সৌম্য পপিং ক্রিজে ঢোকার আগেই ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউটের শিকার হন। অথচ তার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় বিধ্বংসী এক ইনিংসেরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। তবে রান আউটে কাঁটা পড়ে আর সেটি হয় নি।
অবশ্য তামিমের গড়পড়তা ইনিংসের দিনেও ১৮৭ রানের বড় সংগ্রহের দেখা পেয়েছে বরিশাল। যার নেপথ্যে মূখ্য ভূমিকা রেখেছেন ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক।