কুমিল্লার ত্রাণকর্তা, কে এই ম্যাথু ফোর্ড?

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েও প্রথম ম্যাচে নবাগত দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে হেরে বসেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আত্মবিশ্বাস ফেরাতে দ্রুতই জয়ের পথে ফিরতে হতো তাঁদের, আর দলকে বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই জয় এনে দিলেন ম্যাথু ফোর্ড। তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষ হাসি হাসতে পেরেছে লিটন দাসের দল।

প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আউট করেছেন, সব মিলিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। এর পাশাপাশি রান তাড়া করতে নেমে তিনি খেলেছেন ৪ বলে ১৩ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও। এর ফলেই বরিশালের হাতের মুঠোতে থাকা জয় চলে এসেছে কুমিল্লা শিবিরে।

নতুন বলে অধিনায়কের আস্থা হয়ে উঠেছেন ফোর্ড; এদিনও তাঁকে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে নিয়ে আসেন লিটন। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি তাঁর, খরচ করেন ১২ রান। কিন্তু এরপরই জ্বলে ওঠেন তিনি; নিজের শেষ তিন ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করেন। এই তিন ওভারের মধ্যে দুইটিই অবশ্য করেছেন ডেথ ওভারে।

তবে উইন্ডিজ তারকা কাজের কাজটা করেন ব্যাট হাতে। শেষ ওভারে খুশদিল শাহ রান আউট হলে ক্রিজে এসেছিলেন তিনি। জয়ের জন্য তখন পাঁচ বলে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল ভিক্টোরিয়ান্সের। সে সময় প্রথম বলে দুই রান নেন এই ডানহাতি, পরের বলেই হাঁকান বিশাল এক ছয়। তখনো ম্যাচের রোমাঞ্চ জিইয়ে ছিল।

কিন্তু তৃতীয় বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মেরে বরিশালের আশা শেষ করে দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে তাঁকে, কুমিল্লার জয়ের নায়ক তাই বলাই যায় এই পেসারকে।

প্রথম ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছিলেন তিনি। উইকেট না পেলেও কিপ্টে বোলিং করে ঢাকাকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। সেদিন ব্যর্থ হলেও বরিশালের বিপক্ষে ঠিকই সফলতা জুটলো তাঁর ঝুলিতে। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের মিশনে নামা কুমিল্লা এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আশা করবে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link