আলট্রা এজ, তুমি কার? ডিআরএসে নয়া বিতর্ক সিলেটে!

ভেবেছিলেন বিদায় নিশ্চিত। সৌম্য সরকার পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায় বাউন্ডারি লাইনে। কিন্তু, তখনই বিধিবাম। তৃতীয় আম্পায়ার বলে দিলেন, নট আউট। অন ফিল্ড আম্পায়ারকে তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টােতে হল। দ্বিতীয় জীবন পেলেন সৌম্য সরকার।

ব্যস, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশ গজ তখন রীতিমত রণক্ষেত্র। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও সিনিয়র ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের নেতৃত্বে তাঁরা এগিয়ে গেলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের কাছে। তাঁদের পক্ষেও যুক্তি আছে। যদিও, সেই আলোচনায় খুব একটা লাভ হয়নি। দ্বিতীয় জীবন নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান সৌম্য সরকার।

এবার মূল ঘটনায় আসা যাক। ঘটনার সূত্রপাত বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে। বিনুরা ফার্নান্দোর ডেলিভারিটা ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়নি সৌম্যর। ব্যাটের সাথে বলের সংঘর্শেনর শব্দও পাওয়া যায়। বর সোজা চলে যায় উইকেট রক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। উইকেট মাইকে একটা স্পষ্ট শব্দ শোনা যায় বলেই আম্পায়ার গাজী সোহেল আঙুল তুলে দিতে দ্বিধা করেননি।

কিন্তু, সৌম্য ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। তিনি রিভিউ নেন। জটিলতাটা এখানেই। আলট্রা এজে স্পাইক দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু সেটা বল ব্যাট ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর। তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলও তখন বলছিলেন, ব্যাট ও বলের মধ্যে আলো চলাচলের মত ফাঁক আছে।

তাই, ফিরিয়ে আনা হয় সৌম্যকে। কিন্তু, তাহলে স্ট্যাম্প মাইকে যে শব্দটা শোনা গেল – সেটা কি ছিল? আবার আলট্রা এজের স্পাইকটাই বা কিসের? লঙ্কানরা নিশ্চয়ই সেই প্রশ্নটাই করছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার সৈকত ও গাজী সোহেলকে।

পরে, অবশ্য ধারাভাষ্য কক্ষে তখন আম্পায়ার ইস্যু বেশ সরগরম হয়ে ওঠে। রাসেল আরনল্ড কিংবা রোশান আবেসিংহেদের সমালোচনার মুখে পড়েন ম্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়াররা।

ইদানিং, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ খুব বিতর্ক ছড়াচ্ছে ইদানিং। সেই বিতর্কেরই আরেকটা অধ্যায় রচিত হল সিলেটে। এবার দেখা যাক এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়?

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link